আজ সোমবার , ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিতঃ ১১:০৬ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৯, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪০ বার

মোঃ দৌলত হোসেন:
সনাতন ধর্মাবলম্বী এক নারীর মারধোর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগকে মিথ্যা দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। অভিযোগকারী ঐ নারীর নাম শ্রীমতি রূপসী রানী। তিনি নন্নী ইউনিয়নের বনকুড়া গ্রামের প্রদীপ রায়ের স্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, রূপসী রানী একজন খারাপ প্রকৃতির চরিত্রহীন মহিলা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এজন্য স্থানীয় সনাতন হিন্দু সমাজ এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করেছে। রূপসী রানীর সাথে এলাকার দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত যুবদল নেতা মীর হোসেন এই অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত। তাই এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ মীর হোসেনকে নজরে রাখছিলো। গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে
দূর্গা পূজা বিসর্জনের সময় মীর হোসেনকে রূপসী রানীর থাকার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় এলাকার কয়েকজন যুবক। পরে তাদের ধরতে গেলে স্থানীয় শিক্ষক হীরন চন্দ্র বর্মনের সহযোগীতায় মীর হোসেন পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতেই এই নারী থানায় মিথ্যা অভিযোগটি করেছে। আমরা এই দেহব্যবসায়ী নারীর উপযুক্ত বিচার চাই।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী রূপসী রানীর স্বামী প্রদীপ রায়ের ভাই পরিতোষ চন্দ্র বর্মণ তার বৌদিকে পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত একজন মামলাবাজ মহিলা হিসেবে দাবী করেন এবং এজন্য পারিবারিক ভাবে আলাদা থাকেন বলে বক্তব্য দেন।

রূপসী রানীর অভিযোগের স্বাক্ষী হরকান্ত বর্মণ সংবাদ সম্মেলনে রূপসী রানীর অভিযোগটি মিথ্যা দাবী করে বলেন, আমি কিচ্ছু জানিনা। আমাকে শুধু শুধু আন্দাজে স্বাক্ষী করা হয়েছে।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সনাতন হিন্দু সমাজের প্রধান ও শিক্ষাগুরু মনীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, আদিবাসী নেতা অনীল চন্দ্র বর্মণ, অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র বর্মন উপস্থিত থেকে রূপসী রানীকে চরিত্রহীন ও তার অভিযোগকে মিথ্যা দাবী করে তার শাস্তি দাবী করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রূপসী রানী দুশ্চরিত্রবান হওয়ায় তার সাথে আশেপাশের পাড়া প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর কোন মিল নেই। এর আগেও একাধিকবার আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরেছিলো এবং ধামাচাপা দিতে এলাকার লোকজনকে বিবাদী করে মোকদ্দমা করেছিলো। পরে ঐ মোকদ্দমা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী রূপসী রানী তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন প্রতিমা বিসর্জনের দিন অতর্কিতভাবে তাকে মারধোর করা হয়েছে। এজন্য তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় হিন্দু ও মুসলমান এলাকাবাসী ছিলেন।

Shares