আজ মঙ্গলবার , ২৮শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

হালুয়াঘাটে অটো রিক্সার চাপায় ৮ বছরের শিশুর মৃত্যু হালুয়াঘাটে ট্রলির চাপায় ৮ বছরের শিশুর মৃত্যু নালিতাবাড়ীতে ভারতীয় মদসহ যুবক গ্রেফতার বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র মুক্তির দাবীতে মিছিল বাউফলে অবরোধ কর্মসুচী পালন বাউফলে অবরোধ কর্মসুচী পালন ১৮০ বোতল ভারতীয় মদ আটক করল হালুয়াঘাট থানা পুলিশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা নাহিদকে হালুয়াঘাটে সংবর্ধনা কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সংখ্যালঘু নারীকে নির্যাতন,সংবাদ সম্মেলনে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন মুক্তাগাছায় সেকান্দর হত্যায় আটক দুই ইত্তেফাকুল উলামার নেতৃবৃন্দের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি আওয়ামিলীগ নেতা গোপাল সরকারকে প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা

মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিতঃ ১১:০৬ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৯, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১২ বার

মোঃ দৌলত হোসেন:
সনাতন ধর্মাবলম্বী এক নারীর মারধোর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগকে মিথ্যা দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। রফিকুল ইসলাম শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। অভিযোগকারী ঐ নারীর নাম শ্রীমতি রূপসী রানী। তিনি নন্নী ইউনিয়নের বনকুড়া গ্রামের প্রদীপ রায়ের স্ত্রী।

সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, রূপসী রানী একজন খারাপ প্রকৃতির চরিত্রহীন মহিলা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। এজন্য স্থানীয় সনাতন হিন্দু সমাজ এদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করেছে। রূপসী রানীর সাথে এলাকার দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত যুবদল নেতা মীর হোসেন এই অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত। তাই এলাকাবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ মীর হোসেনকে নজরে রাখছিলো। গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে
দূর্গা পূজা বিসর্জনের সময় মীর হোসেনকে রূপসী রানীর থাকার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় এলাকার কয়েকজন যুবক। পরে তাদের ধরতে গেলে স্থানীয় শিক্ষক হীরন চন্দ্র বর্মনের সহযোগীতায় মীর হোসেন পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিতেই এই নারী থানায় মিথ্যা অভিযোগটি করেছে। আমরা এই দেহব্যবসায়ী নারীর উপযুক্ত বিচার চাই।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী রূপসী রানীর স্বামী প্রদীপ রায়ের ভাই পরিতোষ চন্দ্র বর্মণ তার বৌদিকে পতিতাবৃত্তির সাথে জড়িত একজন মামলাবাজ মহিলা হিসেবে দাবী করেন এবং এজন্য পারিবারিক ভাবে আলাদা থাকেন বলে বক্তব্য দেন।

রূপসী রানীর অভিযোগের স্বাক্ষী হরকান্ত বর্মণ সংবাদ সম্মেলনে রূপসী রানীর অভিযোগটি মিথ্যা দাবী করে বলেন, আমি কিচ্ছু জানিনা। আমাকে শুধু শুধু আন্দাজে স্বাক্ষী করা হয়েছে।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় সনাতন হিন্দু সমাজের প্রধান ও শিক্ষাগুরু মনীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, আদিবাসী নেতা অনীল চন্দ্র বর্মণ, অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র বর্মন উপস্থিত থেকে রূপসী রানীকে চরিত্রহীন ও তার অভিযোগকে মিথ্যা দাবী করে তার শাস্তি দাবী করেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রূপসী রানী দুশ্চরিত্রবান হওয়ায় তার সাথে আশেপাশের পাড়া প্রতিবেশী ও এলাকাবাসীর কোন মিল নেই। এর আগেও একাধিকবার আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পরেছিলো এবং ধামাচাপা দিতে এলাকার লোকজনকে বিবাদী করে মোকদ্দমা করেছিলো। পরে ঐ মোকদ্দমা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়।

এ বিষয়ে অভিযোগকারী রূপসী রানী তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন প্রতিমা বিসর্জনের দিন অতর্কিতভাবে তাকে মারধোর করা হয়েছে। এজন্য তিনি থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় হিন্দু ও মুসলমান এলাকাবাসী ছিলেন।

Shares