হালুয়াঘাটে যুবককে কুপালেন জেলা পরিষদ নেত্রী শিমুল! থানায় মামলা
প্রকাশিতঃ ৫:৩১ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৫, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২,৩৫৭ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ
হালুয়াঘাট উপজেলার ৬নং বিলডোরা ইউনিয়নে রফিকুল্লাহ চৌধুরী মানিককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করলেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিতর্কিত সদস্য আসমাউল হোসনা শিমুল।এ ঘটনায় শিমূলকে প্রধান আসামীসহ ৪ জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা রুজো হয়েছে। মানিক ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। মানিক ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক অদম্য বাংলার স্থানীয় প্রতিনিধি বলে জানা যায়।
সুত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাত সারে এগারোটায় ভাড়াটিয়া মোটরসাইকেলযোগে ব্যবসায়ীক কাজ শেষে মানিক তার নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শিমূলের বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় আসা মাত্রই দড়ি টানিয়ে মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেল থামিয়ে চালক দৌড়ে পালিয়ে গেলেও মানিকের মাথা লক্ষ্য করে শিমুল দা দিয়ে কোপায়। এতে মানিক মাটিতে পরে গেলে তাকে শিমুলের সাথে আসা বাহিনীর সদস্যরা এলোপাথারী কুপিয়ে দুই হাত-পা ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় মানিকের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা মানিককে উদ্ধার করে দ্রুত হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
কথিত আছে জেলা পরিষদের এ নেত্রী নিজেকে এমপি’র চেয়েও বড় পদের অধিকারী বলে দাবী করেন নিজেকে। আওয়ামীলীগের অনেক সিনিয়র নেতাদের তোয়াক্কা না করে চলার চেষ্টা চালান তিনি। অনেক বিতর্কও রয়েছে তাকে নিয়ে। তাকে নিয়ে অনেক সিনিয়র নেতাদের মাঝে ক্ষোভ পরিলক্ষিত হয়। এই বিতর্কিত নেত্রী শিমুল তিন উপজেলা থেকে নির্বাচিত হওয়াই নিজেকে এমপি’র চেয়েও বড় দাবী করেন বলে লোক মুখে জনশ্রুতি রয়েছে। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গির আলম তালুকদার জানান, এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানায় মামলা রুজো হয়েছে। শিমুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।###