আজ শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

রঞ্জনা ঝর্ণার পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিতঃ ৭:২৯ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২১৮ বার

নালিতাবাড়ী সংবাদদাতাঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ী তে
কৃষকদের সেচকাজের জন্য গড়ে তোলা ‘সমশ্চুড়া রঞ্জনা খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ’ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন সমিতির সদস্যরা।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ভারতঘেঁষা পাহাড়ি গ্রাম সমশ্চুড়ায় আয়োজিত এক সাধারণ সভায় হিসাব বিবরণীতে এমন অভিযোগ আনা হয়। অবশ্য রেজাউল করিম তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সমিতি সূত্রে ও সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পাহাড়ি এলাকার ফসলি জমিতে বোরো মৌসুমে সেচকাজে পাহাড়ি ঝিড়ির পানি ব্যবহারের লক্ষ্যে রঞ্জনা ঝরণায় একাধিক স্লুইচ গেইট (জলকপাট) নির্মাণ করে সরকার। পরবর্তীতে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন করে ঝরণা সংশ্লিষ্ট কৃষকদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘সমশ্চুড়া রঞ্জনা খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ।’ নিয়মানুযায়ী সবশেষ গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের মাধ্যমে তিন বছর মেয়াদী কমিটি গঠন করা হয়। নির্বাচিত ওই কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন ওমর ফারুক সাগর ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন রেজাউল করিম। ওই সময় বিগত কমিটি সদস্যদের আয় ও সঞ্চয় বাবদ নগদ ২ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ টাকা বর্তমান সাধারণ সম্পাদকের হাতে বুঝিয়ে দেন। পরবর্তী এক বছরে (২০২১ সালে) সেচকাজে লাভের পরিবর্তে ২ হাজার ৫শ টাকা লোকসান দেখান সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম। ফলে বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সদস্যদের কাছে বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হলে গন্ডগোল বাঁধে। একপর্যায়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা জামাল উদ্দিনের সহযোগিতায় ৬ সদস্য বিশিষ্ট ‘সেচ কমিটি’ গঠন করে ২০২২ সালে বোরো মৌসুমে সেচকাজ পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সেচ কমিটি মৌসুম শেষে সকল ব্যয় বাদে ৫৩ হাজার টাকা নগদ মুনাফা করেন এবং কৃষকদের কাছে বকেয়া বাবদ মুনাফার আরও ৯৫ হাজার টাকা রয়ে যায়।
এদিকে গেল বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর জেলা সমবায় কর্মকর্তা সারোয়ার জাহান সমিতির অডিটকালে হস্তগত নগদ ২ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ টাকা সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের হাতে রয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এমতাবস্থায় ২০২২ সাল অতিক্রম করার পর ২০২৩ সালের ১৪ জানুয়ারি বর্তমান কমিটির দ্বিতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহবান করা হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতি ও অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাসহ সদস্যরা উপস্থিত হলেও অনুপস্থিত থাকেন সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম।
সমিতি ও সেচ কমিটির সদস্য মোস্তফা কামাল জানান, আমরা যেখানে এক মৌসুম দায়িত্ব পালন করে সব খরচ বাদে প্রায় লাখ টাকা মুনাফা করলাম, সেখানে সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আগের মৌসুমে দায়িত্ব পালন করে মুনাফার পরিবর্তে লোকসান দেখিয়েছেন। মূলত তিনি সমিতির সদস্যদের টাকা আত্মসাত করেছেন।
সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক সাগর জানান, আগের কমিটি নগদ ২ লাখ ৩১ হাজার ৯০১ টাকা সাধারণ সম্পাদক রেজাউলের হাতে হস্তান্তর করে গেছেন। এখনও পর্যন্ত ওই টাকা সমিতিকে বুঝিয়ে দেননি তিনি। বরং এক বছর সেচের দায়িত্ব পালন করে লোকসান দিয়ে ওই টাকাও আত্মসাত করেছেন।
এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার দায়িত্বে যখন সেচকাজ চালিয়েছিলাম তখন কাজ করতে হয়েছে বেশি। এছাড়াও কমিটির কতিপয় সদস্য ১৫ একর জমি বিনামূল্যে সেচ দিয়েছেন। মাঠে বকেয়া রয়েছিল প্রায় এক লাখ টাকা। ফলে সে সময় লোকসান হয়েছে। নগদ অর্থ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিগত কমিটি ব্যাংকের হিসাব জমা-খরচের খাতায় না উঠানোয় হিসেবে গড়মিল হয়েছে। পরবর্তীতে হিসেব করে আমার কাছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছিল। যা ইউপি চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে মিমাংসা করা হয়েছে।

Shares