১৯ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়া নিয়ে তুলকালাম চলছেই –
প্রকাশিতঃ ১:৫৯ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৭, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১৪ বার

ওমর ফারুক সুমনঃ অতিরিক্ত ফি না দেওয়াই দ্বাদশ শ্রেণীর প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষার হল থেকে ১৯ জন পরিক্ষার্থীকে গাল মন্দ করে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এমন অভিযোগে তুলকালাম চলছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার শাকুয়াই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও এক প্রভাষককে নিয়ে। এ ঘটনায় ১৯ জন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জমা দেন শিক্ষার্থীরা।অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা দৈনিক মানবজমিনকে জানান, গত ৩ অক্টোবর চলমান পরীক্ষা হলের দায়িত্বরত প্রভাষক আব্দুস ছালাম অধ্যক্ষের নির্দেশে পরীক্ষার হল থেকে ১৯ জন পরীক্ষার্থীকে বেতন না দেয়াই পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেন। পরে বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা হাসান বরাবরে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।লিখিত অভিযোগে জানা যায়, কলেজের অধ্যক্ষ দৌলত আলী ও প্রভাষক আব্দুস ছালাম শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষার হলে হয়রানীসহ গালমন্দ করেছেন। এক পর্যায়ে অশোভন আচরণ করে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিয়েছেন। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী নদী, লিমা, বৃষ্টি, স্বর্ণা, সোহানা, নিশাতসহ অনেকেই বলেন, অতিরিক্ত বেতন পরিশোধ না করায় কলেজ অধ্যক্ষ ও অভিযুক্ত প্রভাষক গালমন্দ করে শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করে দেন। অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে অধ্যক্ষ দৌলত আলী বলেন, বিষয়টি তিনি পরে প্রভাষক আলী আজগরের কাছ থেকে জেনেছি। আমি মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেননা।শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন তিনি। তিনি বলেন, ১৯ জন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন তাও সত্য নয়। মাত্র সাতজন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি। বাকীরা পরীক্ষা দিয়েছে।তাছাড়া পরীক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের ঘটনাটি সমাধান করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে সমাধানের বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযোগকারী শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে প্রভাষক আবদুস ছালামকে মোবাইল ফোনে বলেন, ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন পরীক্ষা চলাকালে কারও বেতন বকেয়া থাকলে কলেজ অধ্যক্ষ থেকে অনুমতি নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছিল। হল থেকে তাদেরকে বের করে দেয়া হয়নি। নিজেরাই বের হয়ে উপজেলায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন।এদিকে অভিযোগের পর গুরুত্ব সহকারে আমলে নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মাহমুদা হাসান।তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন তিনি।##