বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স
প্রকাশিতঃ ৭:৪৭ অপরাহ্ণ | মার্চ ২৮, ২০২৪ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১৪৩ বার
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ভারতীয় পন্য বর্জনে আওয়ামী নেতানেত্রীদের গায়ে যেনো আগুন লাগেছে কিন্তু বাজারে দ্রব্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগে না। তারা প্রভূ তুষ্টি নিয়ে ব্যস্ত, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে তাদের পদক্ষেপ লিপ সার্ভিসে সীমাবদ্ধ। তিনি আজ বিকেলে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন । ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ,সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফরাহাদ রাব্বানী সুমনের সভাপতিত্বে ও সিরাজুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মুন্সিরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, বিএনপি নেতা মাহবুবুল আলম বাবুল,
উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন ,যুগ্ম আহ্বায়ক তোফায়েল আহমেদ ,
ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি ইদ্রিস আলী, নেতা আবুল কালাম ,ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান রিপন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি এনামুল হক বিজয়, বক্তব্য রাখেন । এছাড়াও বিএনপি নেতা আবদুল কুদ্দুস ,,ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আবুল কাশেম ডলার, যুগ্ম সম্পাদক ফরহাদ আল রাজি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী , জেলা ছাত্র দলের যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন,সদস্য রাজু খান, ,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসাইন ,সদস্য সচিব কামরুল হাসান সুমন, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মানিক,সদস্য সচিব শামীম হাসান, উপজেলা তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাসান শাহ ,ওলামা দলের মওলানা হাবিবুর রহমান , মওলানা ওবায়দুল্লাহ আবদুস সাত্তার,প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।এসময় আন্দোলনে বাঘবেড় ইউনিয়নের গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ করে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার স্বপ্নসাধ ধুলিস্যাত করে দিয়েছে। স্বাধীনতার একক দাবীদার সেজে মুক্তিযুদ্ধে লক্ষ -কোটি মানুষের অবদানকে তারা অস্বীকার করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে কর্তৃত্ববাদী চরম দুঃশাসন কায়েম করেছে। বাংলাদেশে এখন স্বাধীনভাবে রাজনীতি করা ও কথা বলার স্বাধীনতা নাই।নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে নিশ্চিত ভরাডুবির আশঙ্কায় আওয়ামী লীগ গণদাবি উপেক্ষা করে প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতায় প্রহসনের সাজানো পাতানো নির্বাচন করেছে। গণভবন থেকে আওয়ামী লীগসহ অন্য দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঠিক করে নির্বাচিত ঘোষণার তালিকাও ঠিক করে দেয়া হয়েছিল, এমনকি কোনো প্রার্থী নিজেকে ভারতের মনোনীত প্রার্থী দাবি করে হুঙ্কার দিয়েছিলেন।এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া নির্বাচনের খরচ নিয়ে বিরোধও হয়েছে,এখন ডামি এমপিরা নির্বাচনের খরচ ওঠানোর জন্য প্রকাশ্যে দুর্নীতির ঘোষনাও দিচ্ছে। তিনি বলেন , আওয়ামী লীগ ৭ জানুয়ারী ডামি নির্বাচন করে গণ শত্রুতে পরিণত হয়েছে ।তাদের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, ভারত। তিনি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রতি মনোবল দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে অপ প্রচার চালাচ্ছে ।সরকারের অপ প্রচারে কেউ কান দেবেন না।শত চেষ্টা করেও তারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারে নাই, পারবেও না।