হালুয়াঘাটে চকেরকান্দা স্বতন্ত্র এবতেদায়ীর বিরুদ্ধে ফের অভিযোগ
প্রকাশিতঃ ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ | জুলাই ০২, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪১৮ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ হালুয়াঘাট উপজেলার ১১নং আমতৈল ইউনিয়নে চকেরকান্দা গ্রামে অবস্থিত চকেরকান্দা স্বতন্ত্র এবতেদায়ীর মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে ১ জুলাই রবিবার ফের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক ফাইজুল ইসলাম। অত্র প্রধান শিক্ষক ভুঁয়া পকেট কমিটি সাজিয়ে ভিলভাতাদি উত্তোলন করে যাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। অভিযোগে প্রকাশ, মাদ্রাসার কোন ঘর নেই। এমনকি কোন শিক্ষার্থীও নেই। পাশের চকেরকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ছাত্র ধরে এনে অভিযোগকারী ফায়জুলের নিজস্ব ঘরে ছাত্র সাজিয়ে বসিয়ে রাখে। এছাড়া বর্তমানে সেলিম ও সাইফুল নামে দুজনকে নিয়োগের কথা বলে মাদ্রাসায় নিয়ে আসে। এদের কাছ থেকেও মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করে বলে জানা যায়। এছাড়া ইতিপূর্বে নাম সর্বস্ব এই প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধ পন্থায় ৪৪ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দাবীদার মোজাম্মেল হক। যা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই বিষয়ে মোজাম্মেলের সাথে কথা বললে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ১৩ হাজার টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা এতোদিন টাকা তুলেনি। এখন যেহেতু কাজ শুরু করতে যাচ্ছি তাই এ টাকা তুলেছি। এক পর্যায়ে ম্যানেজ করার প্রস্তাব দেন। ধারাবাজার অগ্রণী ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ আজিজুল হক বলেন, গত গত বছরের ৬ জুলাই ও চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে উক্ত টাকাগুলো উত্তোলন করেছেন। তিনি বলেন, তারা কমিটির সভাপতি স্বাক্ষর দেখিয়ে বিল জমা দিলে আমরা তা দিয়ে দিই। আটকিয়ে রাখার সুযোগ তাদের নেই বলে তিনি জানান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এখানে এই নামে বর্তমানে কোন এবতেদায়ী প্রতিষ্ঠান চালু নেই। এলাকাবাসী বলেন, একসময় চালু ছিলো। বর্তমানে একটি ভাঙ্গা ঘর থাকলেও তাতে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে দেখা যায়। ঘরের ভিতর ধান ভর্তি করে রেখেছেন। কোন কার্যক্রম শুরু করেননি বলে স্থানীয়রা জানান।
এ বিষয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, টাকা ৪৪ হাজার নয়, মাত্র ১৩ হাজার টাকা তুলেছেন, তবে তা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদের অনুমতি ক্রমেই তুলেছেন। টাকা উত্তোলনের বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অস্বীকার করেন। তিনি অনুমতি দেননি বলে জানান। অপরদিকে অবৈধভাবে উক্ত টাকা উত্তোলন করে মোজাম্মেল হক আত্বসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় লোকজন। বস্তুত প্রতিষ্ঠানটির বৈধ কোন কাগজপত্র নেই।