আজ শুক্রবার , ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রবীণে প্রবীণে লড়াই এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স

মাকে বেঁধে লোহার খুন্তি গরম করে সন্তানকে ছ্যাকা

প্রকাশিতঃ ৯:৪৫ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৯, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৬৫ বার

অনলাইন ডেস্কঃ মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে মা’কে ডাব গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে দুই শিশু সন্তানকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে লোহার খুন্তি গরম করে শিশু সুমীর (৬) পায়ে ও হাতে এবং মারুফের (৮) হাতে ছ্যাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী মনি আক্তার। মামলার প্রধান আসামী মদনপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য খলিলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না বলে অসহায় মনি আক্তার নিরাপত্তাহীনতায় আছেন।

সূত্রমতে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের পাইকপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া সালাউদ্দিন রহমান জীবনের স্ত্রী মনি আক্তার বুধবার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান মেম্বারের বাড়িতে খাবার খেয়েছেন। খাবার খেয়ে মনি আক্তার দুই সন্তানকে নিয়ে চলে আসার সময় তাকে মোবাইল চোর আখ্যা দিয়ে মনি আক্তারকে ডাব গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে তার দুই শিশু সন্তানকে লাঠি দিয়ে প্রহারের পর লোহার খুন্তি গরম করে শিশু সুমীর পায়ে ও হাতে এবং মারুফকে হাতে ছ্যাকা দেয়া হয়। ৪ ঘন্টা আটকে রাখার পর অবস্থা বেগতিক দেখে তাদের ছেড়ে দেয় খলিল মেম্বার। ওই দিন রাতেই নির্যাতিতা মনি আক্তার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতনের শিকার মনি আক্তার অভিযুক্ত মেম্বার ও তার সহযোগীদের বিচারের দাবিতে ৪ দিন যাবত প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়।

কিন্তু কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে বিষয়টি জেলা পুলিশের উর্ধ্বতর মহলের দৃষ্টিগোচরে পড়লে কর্তৃপক্ষের চাপে থানা পুলিশ মনি আক্তারকে ডেকে এনে ইউপি সদস্য খলিল মেম্বারসহ ৩ সহযোগীর বিরুদ্বে মামলা গ্রহণ করেন।

মামলা করার পর থেকে অভিযুক্ত মেম্বার ও থানা পুলিশের হুমকিতে শিশু সন্তানদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মনি আক্তার। মামলার তদন্তকারী অফিসার ইন্সপেক্টর কুতুবে আলম বলেন, আসামী গ্রেপ্তারের জন্য খলিল মেম্বারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, খলিল মেম্বারকে এলাকায় প্রকাশ্যে চলাফেরা করতে দেখেছেন তারা। আওয়ামীলীগ নেতা হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না।

Shares