আজ মঙ্গলবার , ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় খালেদা-তারেক জড়িত- প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিতঃ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৫, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৩১ বার

অনলাইন ডেস্কঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তৎকালীন বিএনপি সরকারকে অভিযুক্ত করে বলেন, এ হত্যাযজ্ঞে খালেদা জিয়া এবং তার সন্তান তারেক রহমান সরাসরি জড়িত। এতে কোনো সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগের যে কোনো সমাবেশের নিরাপত্তা বজায় রাখতে স্বেচ্ছাসেবক এবং ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তারা সাধারণত পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে এ দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ওই দিন তাদের সমাবেশের আশেপাশের কোনো ভবনের ছাদে থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, কারা এ হামলায় জড়িত।
মঙ্গলবার সকালে গ্রেনেড হামলায় হতাহতদের স্মরণে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি সেদিনের ঘটনাস্থল ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের নিচে শহীদদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, হামলার সময় সেখানে উপস্থিত সেনা গোয়েন্দা সংস্থার এক সদস্য তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ হেড কোয়ার্টারে ফোন করে এখানে কি হচ্ছে জানতে চাইলে তাকে ধমক দিয়ে সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। যেসব পুলিশ কর্মকর্তারা একটু সাহায্য করতে চেয়েছে তাদের সরকার ও বিএনপি’র পক্ষ থেকে তিরস্কার করে সেখান থেকে সরে যেতে বলা হয়। হতাহতদের সাহায্যে এগিয়ে না এসে পুলিশ বরং যারা সাহায্য করতে এসেছিল তাদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে খুনিদের নির্বিঘ্নে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এতগুলো মানুষ হতাহত হলো কিন্তু সেটা নিয়ে সংসদে সে সময় কোনো কথা বলতে দেয়া হয়নি। কেউ কথা বলতে গেলেই মাইক বন্ধ করে দেয় আর সেটা নিয়ে নির্মম ব্যঙ্গোক্তি এবং হাসি-তামাশা-ঠাট্টা করে। কোনো শোক প্রস্তাবও আনতে দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘এমনও অপপ্রচার চালানো হয় এমনকি সংসদেও বলা হয়েছে, আমি নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড এনে এই হামলা চালিয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতাদের দেয়া বক্তব্যগুলো স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘এর কয়দিন আগেই খালেদা জিয়া এবং বিএনপি বলেছিল হাসিনা প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারবে না। আর আওয়ামী লীগ আগামী একশ’ বছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না।’ কারণ আওয়ামী লীগকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করাই ছিল তাদের পূর্বপরিকল্পনা।
তিনি বলেন, ঘটনা সংঘটিত হবার পর থেকেই এর আলামত সংরক্ষণ না করে আলামত ধ্বংসের একটি প্রচেষ্টা বিএনপি-জামায়াতের ছিল। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত যে আর্জেজ গ্রেনেড সেদিন ছোড়া হয়েছিল তার মধ্যে একটি গ্রেনেড ফোটেনি সেটিও সংরক্ষণ করা হয়নি। সিটি করপোরেশন থেকে পানির গাড়ি এনে তড়িৎ ঘটনাস্থল ধোয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায় এবং গ্রামের এক লোককে ধরে এনে তাকে দোষী সাজিয়ে ‘জজ মিয়া নাটক’ মঞ্চস্থ করা হয়। এর বিচার কাজ পরবর্তীতে তার সরকার শুরু করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার চলছে। আশা করি সেই বিচারের রায় বের হবে। তবে, আইভি রহমানসহ যারা মারা গেছেন তাদেরকে আর কোনো দিন ফিরে পাবো না। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’ তিনি বলেন, ‘আমার একটাই চেষ্টা যতক্ষণ বেঁচে আছি ততক্ষণ যেন এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে জাতির পিতার স্বপের সোনার বাংলা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়তে পারি।’ এদিকে অস্থায়ী বেদিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর দলীয় নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। গ্রেনেড হামলায় নিহতদের পরিবারের সদস্য ও আহত নেতাকর্মীদের সঙ্গে সেখানে কুশল বিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

Shares