মেয়ের খুনের বিচার চাইলেন বাবা
প্রকাশিতঃ ২:০০ অপরাহ্ণ | আগস্ট ০৬, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২০৬ বার
মোঃ দৌলত হোসেন নালিতাবাড়ীঃ গত ২৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর কালিনগর মহল্লায় খুন হন দিতি বেগম (১৮) নামের এক নববধূ। দিতি পৌরশহরের কালিনগর মহল্লার চাতাল শ্রমিক মো. মুছা মিয়ার মেয়ে। এঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত যুবক রহুল আমিন (২৫) কে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
তবে এই খুনের ঘটনায় সহযোগী হিসেবে অভিযুক্তের ভাবি রুমেলা বেগমকে আসামী করার দাবী জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। সম্প্রতি প্রেসক্লাব নালিতাবাড়ীর সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এসব দাবী জানায় নিহতের পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে নিহত দিতির পিতা মুছা মিয়া বলেন,গত ২৯ জুন রাত সাড়ে ৯ টায় প্রতিবেশি রহুল আমিনের ভাবী রুমেলা বেগম আমার মেয়েকে ডাকে এবং ঘরের দরজা খুলে দিতে বলে। এত রাতে প্রতিবেশী মহিলার ডাকেই আমার মেয়ে ঘরের দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলে দিতেই প্রতিবেশি মাদকাসক্ত রুহুল আমীন ঘরে ঢুকে আমার মেয়ের মাথায় দা দিয়ে কোপ বসায়। এতে রাতেই আমার মেয়ে মারা যায়।
তিনি আরোও বলেন, ওই রাতেই রুহুল আমীন ও তার ভাবী রুমেলাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও পরদিন রুমেলাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু ওই মহিলা না ডাকলে আমার মেয়ে দরজা খুলতো না। তাহলে আমার মেয়েটাও আজ জীবিত থাকতো। তাই আমার মেয়েকে খুন করায় সহযোগী হিসেবে আমরা ওই মহিলার শাস্তি চাই। পুলিশ যেনো ওই মহিলাকেও আসামী করে এটা আমাদের দাবী। একমাত্র মেয়েটাকে হারিয়েছি। এখন উপযুক্ত বিচার না হলে বাবা হয়ে বেঁচে থেকেও নিজেকে মৃত মনে হবে।
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল বলেন, এই মামলার তদন্ত এখনও চলছে। দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। তদন্তে কাউকে দোষী পাওয়া গেলে মূল চার্জশিটে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
প্রসঙ্গত, দিতির সঙ্গে গত ২৩ জুন উপজেলার চেল্লাখালী গ্রামের খায়রুল ইসলামের (২৬) বিয়ে হয়। খায়রুল কাজের সুবাদে রাজধানীর ডেমরায় বসবাস করেন। গত ঈদুল আজহার পর দিতিকে তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিবেশী রহুল দিতিকে ভালোবাসতেন। দিতিকে বিয়ে করতে না পেয়ে তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। ২৯ জুন রাতে রহুল মাদক সেবন করে ঘর থেকে দা নিয়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েন। রুহুলের ভাবী রুমেলা দিতিকে ডাকলে দিতি ঘরের দরজা খুলে দেয়। ঘরে ঢুকে দিতির মাথায় দা দিয়ে কোপ দেন। এ সময় দিতির মা চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তবে এর আগেই রহুল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পরে ওই রাতেই সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিতিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পথে দিতি মারা যান।