হালুয়াঘাটে কুকুরের টানাহেচড়া থেকে নবজাতক উদ্ধার
প্রকাশিতঃ ৩:২৪ অপরাহ্ণ | জুলাই ০২, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৪০ বার
ওমর ফারুক সুমনঃ সারা শরিরে কাঁদা মাখা ছিলো নবজাতকের শরির! রাতের আধারে কে বা কারা ফেলে রেখে গিয়েছিলো জীবন্ত একটি শিশু। খোঁজ় না পেলে হয়তো কুকুরের কামড়েই মারা যেতো সদ্য পৃথিবীতে আসা এই নতুন অতিথী।বৃহস্পতিবার ভোরে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গায়নী বিভাগের আয়া মিনতি রবিদাস টের পেয়ে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। মিনতি বলেন, আমি রাতে ডিউটিতে ছিলাম। আমাকে নৈশ প্রহরী ডেকে বলে একটি বাচ্চা ড্রেনের পাশে পড়ে রয়েছে। সারা শরিরে কাঁদা মাখা। চারিদিকে কুকুর দাঁড়িয়ে আছে। টানা হেচড়া করছে। আরেকটু পরে গেলে হয়তো সেখানেই মৃত্যু বরণ করতো। পরে তাকে উদ্ধার করে গায়নি বিভাগে নিয়ে আসি। শরিরের কাঁদা মাটি পরিস্কার করি। সকালে ডাক্তার এসে ট্রেটমেন্ট করে। আর এদিকে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে ফেলে রেখে যাওয়া এই অজ্ঞাত পরিচয়ধারী নবজাতককে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিমের হস্তক্ষেপে ও হালুয়াঘাট থানার ওসি মোঃ মাহমুদুল হাসানের সহযোগীতায় বৃহস্পতিবার সকালে এ ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে সকালে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা খবর পেয়ে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন। কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীদের জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, গত রাত পনে তিনটার দিকে কুকুরের চিল্লাচিল্লিতে বাজারের দায়িত্ব্বত নৈশ প্রহরী খোঁজ পেয়ে গায়নি বিভাগের আয়া মিনতি রবিদাস ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মিতালিকে অবগত করলে নবজাতককে উদ্ধার করে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তারা। নবজাতকের শরিরে কুকুরের কামড়ের আচর রয়েছে এমটাও দেখা যায়। শ্বাসকষ্টও রয়েছে। এ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারলে বেঁচে যেতে পারে নবজাতকটি এমন মন্তব্য কর্তব্যরত সেবিকাদের। এ অবস্থায় মুঠোফোনে নির্বাহী অফিসার মোঃ রেজাউল করিমকে অবগত করলে তিনি তৎক্ষনাৎ রেফার্ড করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি হালুয়াঘাট থানার ওসি মাহমুদুল হাসান উনার স্টাফ দিয়ে সহযোগীতা করেন। উল্লেখ্য নবজাতকটির এখন পর্যন্ত পরিচয় পাওয়া যায়নি। কে বা কারা গর্ভপাত ঘটিয়ে ফেলে রেখে যায় তাও জানা যায়নি।হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি.এইচ.ও মুনির আহমেদ বলেন, নবজাতকের জন্যে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। এ ঘটনায় ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ প্রেরণ করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।