হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তৃপক্ষের দাম্ভিকতা! চিকিৎসায় বেহাল অবস্থা
প্রকাশিতঃ ১১:২১ অপরাহ্ণ | মার্চ ২২, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৩২ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেহাল অবস্থা, রোগীদের অসংখ্য অভিযোগ, স্থানীয়দের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায়, সবকিছু মিলে দানা বেধে সৃষ্টি করেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায়। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও বৃদ্ধাঙ্গলী দেখানোর অভিযোগ রয়েছে অহরহ। এ সকল অপকর্মের বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে গতকাল শনিবার চিকিৎসার বেহাল অবস্থা দেখতে হাসপাতাল পরিদর্শন করতে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিমসহ প্রশাসনের একটি টিম। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ড. মুনীর আহমেদের বিভিন্ন অনিয়ম আর খামখেয়ালীর কথা আলোকপাত করে হাসপাতাল কার্যালয়ে জরুরী বৈঠক করেন উপজেলার এই শীর্ষ কর্মকর্তা।পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে উনাকে সাবধান করে দিয়েছি আর সমস্যাধি সমাধান কল্পে পরামর্শ দিয়েছি।হাসপাতালের অনিয়ম সম্পর্কে ভুক্তভোগীরা জানান, করোনা ভাইরাস রোগীদের জন্যে আলাদা কোনো ওয়ার্ড নেই, নিয়োজিত কোন ডাক্তার নেই, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কোন বালাই নেই। জেনারেটর অচল, এক্সরে মেশিন বিকলাঙ্গ। এম্ভুল্যান্স নষ্ট, ক্লিনার নেই। রিপ্রেজেনটিভদের আধিপত্য, নোংরা অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগীদের খাবার বিতরণ করা হয়। স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেনের দায়িত্বহীণতা।স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আনোয়ার হোসেন প্রতিমাসে রুটির বেকারী দোকান থেকে মাসোয়ারা হিসেবে টাকা উত্তোলন করে এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উক্ত কর্মকর্তা টাকা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। হালুয়াঘাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রশিদ বলেন, হাসপাতালের টিএইচও মুনীর আহমেদ একজন দায়িত্বহীন লোক। এমন লোক কেমনে হাসপাতাল চালায় তা আমার বোধগম্য নয়। আওয়ামীলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, মুনীর আহমেদ কখনোই যোগ্য নয়। জাতীয় পতাকাটা যিনি হাসপাতালে উত্তোলন করেনা, তার উক্ত চেয়ারে বসে থাকার অধিকার নেই। মহিলা ওয়ার্ডের এক রোগী অভিযোগ করে বলেন, আমি আমার বেডের নিচে পরিস্কার করতে বলায় ক্লিনার আমার সাথে খারাপ আচরন করে। তিনি বলেন, হাসপাতাল খুবই নোংরা। বাথরোম ও টয়লেট অপরিস্কার। স্থানীয়রা জানান, এই হাসপাতালে যথা সময়ে ডাক্তারগণের উপস্থিতি পাওয়া যায়না। সাধারন রোগ নিয়ে গেলেও ডাক্তারের চেয়ারে বসা সহকারীরা ৭/৮ টি করে টেস্ট দেয়। রিপ্রেজেনটিভদের সাথে আতাত করে মন মতো প্রেসক্রিপশন লিখে থাকে। এ সকল অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে টিএইচও মুনীর আহমেদ অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, জাতীয় পতাকা আজ ভূলবশত উত্তোলন করা হয়নি। ডাক্তারগণ সিফটে ডিউটি করে থাকে। ক্লিনার মাত্র ১ জন থাকায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ঘাতটি থাকতেই পারে। কিন্তু সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কোনো কথা তিনি বলেননি। উপজেলা সদরে ৪ লক্ষ মানুষের একমাত্র ভরসা উক্ত হাসপাতালটির এরকম অসংখ্য অনিয়ম আর অসঙ্গতিতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।