আজ শনিবার , ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রবীণে প্রবীণে লড়াই এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স

বাউফলে প্রান নাশের হুমকি এক স্কুল শিক্ষককে

প্রকাশিতঃ ৬:১৪ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৯ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৬১০ বার

তোফাজ্জেল হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা: পটুয়াখালীর বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভ্যানুতে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেটের মৌখিক নির্দেশে একটি কক্ষের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্যাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর নিয়ে আবার ১০ মিনিটের মধ্যে তা ফেরৎ দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কক্ষ পরিদর্শক এক স্কুল শিক্ষককে প্রান নাশের হুমকি দিয়েছে বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পাঁচদিন পর্যন্ত ঘর থেকে বের হতে পারছেন না ওই শিক্ষক। ফলে পারিবারিক ও সামাজিক কোন কর্মকান্ডে অংশ নিতে না পারায় এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। ওই শিক্ষকের নাম নজরুল ইসলাম টিপু। তিনি বাউফল আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত শনিবার বাউফল আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় গনিত বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। আমি এক নম্বর হলের কক্ষ পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতেছিলাম। এ সময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেট মোসাঃ মাহবুবা বেগম আমাকে মৌখিকভাবে স্যাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর নেয়ার জন্য নির্দেশ দিলে ওই কক্ষের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ক্যালকুলেটর নিয়ে যাই। পরে ১০ মিনিটের মধ্যে আবার ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী হল সচিব প্রধান শিক্ষক মোসা. জাহানারা বেগম তা ফেরৎ দেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা আমাকে ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকী দেয়। তিনি আরও বলেন, প্রশ্নপত্র কঠিন হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের গনিত পরীক্ষা ভাল হয়নি। তাই ক্যালকুলেটর নেয়ার অজুহাতে উদ্দ্যেশ্য মূলকভাবে মোঃ সোহরাব হোসেন নামে এক অভিভাবক আমাকে লাঞ্চিত করেন। এ ঘটনার পর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতা ভুগতেছি। ফলে পাঁচ দিন পর্যন্ত আমি গৃহে অবস্থান করে অতি কষ্টে দিনযাপন করিতেছি। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাঃ জাহানারা বেগম ওই দিন রাতে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।
ওই বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক মফিজসহ কয়েকজন প্রতক্ষ্যদর্শী জানান, পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা হল থেকে বের হলে সোহরাব হোসেন নামে এক অভিভাবকের নেতৃত্বে কতিপয় পরীক্ষার্থীরা কক্ষ পরিদর্শক নজরুল ইসলামকে প্রান নাশের হুমকী ধমকি দেয় এবং এক পর্যায়ে লাঞ্চিত করতে দেখি। এরপরে বিদ্যালয়ের দরজা ও জানালায় লাথি মারে এবং ইটপাটকেল ছুড়ে বিদ্যালয়ে ভাংচুর চালায় তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পিজুস চন্দ্র দে বলেন, ক্যালকুলেটর ব্যবহার নিয়ে পরীক্ষার্থী ও কর্তৃপক্ষের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। তাৎক্ষনিকভাবে তা সমাধান করা হয়েছে। কক্ষ পরিদর্শক ওই শিক্ষকের এতে কোন দোষ প্রতীয়মান হয়নি। তাঁকে কেই প্রান নাশের হুমকি দিয়ে থাকলে তিনি আইনের আশ্রয় নিতে পারেন । সে সুযোগ তাঁর এখনও রয়েছে ।

Shares