উৎসবের রঙ্গিন সাঝে ডুয়েট! ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকি পালিত
প্রকাশিতঃ ৭:৫৭ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ২৫, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪২৯ বার
আল মাহমুদ রাজ, ডুয়েট থেকে:
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের উচ্চতর ডিগ্রির প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) পথচলার ১৫
বছর পূর্তি উদযাপিত হচ্ছে আজ। এ উপলক্ষে গাজীপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। উৎসাহ-উদ্দীপনা
বিরাজ করছে করছে ক্যাম্পাস জুরে। স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে স্বর্ণালি ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় আরও দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ১৬ বছরে পদার্পণে
পড়লো ডুয়েট। স্মৃতির টানে প্রাণের প্রতিষ্ঠানে বর্তমান শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দেবেন প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উৎসবে উজ্জীবনী শক্তি সঞ্চারিত হবে প্রাণে প্রাণে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী- সবার প্রাণ মাতবে মধুর প্রতীক্ষার এই উৎসবের ঢাকে।
এ উপলক্ষে সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কেক কেটে ও পায়রা উড়িয়ে ১5তম ডুয়েট এর (বর্ষপূর্তি) কর্মসূচি পালন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছাত্রকল্যান ডুয়েটের পরিচালক অধ্যপক ড. মো: নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, গাজিপুর সিটি মেয়র এড. জাহাঙ্গির আলম। প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন। এসময় ডুয়েট ছাত্রলীগের সভাপতি তাইবুর রহমান ও সাধারন সম্পাদক বিণয় ব্যানার্জিসিহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। পরে ক্যাম্পাসে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর শহর থেকে ৩ কিলোমিটার উত্তর দিকে প্রায় ৬০ বিঘা জমির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ডুয়েট যাত্রা শুরু করে ২০০৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর। তবে ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং নামে প্রথম প্রতিষ্ঠা পায় এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এর পর নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বর্তমানে প্রায় 4 হাজার শিক্ষার্থী ও প্রায় ৬০০ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে স্বপ্নের উড়াচ্ছে ডুয়েট। আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১ সেপ্টেম্বর হলেও এবার তা উদযাপন করা হচ্ছে ২৫ অক্টোবর। ‘শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ডুয়েট থাকবে সর্বদাই’- এ স্লোগানে ১৬ বছরে পা দিচ্ছে ডুয়েট। ১৫ বছরের পথচলায় বেশ সফল ডুয়েট। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি প্রকৌশল অনুষদের অধীনে সাতটি বিভাগে স্নাতক ও পাঁচটি বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধীনে তিনটি বিভাগে দেওয়া হয়েছে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। শিক্ষার্থীদের জন্য লাইব্রেরি, মেডিকেল সেন্টার, জিমন্যাশিয়াম, খেলাধুলার মাঠসহ আবাসনের জন্য রয়েছে পাঁচটি ছাত্র ও একটি ছাত্রী হল। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও নারীদের প্রকৌশল শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ডুয়েট অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবনাসহ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিষয়ে ডুয়েটের
শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে ইতিমধ্যে তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।
তবে স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চললেও ডুয়েটে রয়েছে অবকাঠামোগত সমস্যাসহ নানা সংকট। শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট বিষয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হলকে সম্প্রসারণ করে ছয়তলা করা হচ্ছে। নতুন ক্যাম্পাসে ৬০০ আসনের আরেকটি হল নির্মিত হলে আবাসন সমস্যা প্রশমিত হবে।