প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক ডিসি অফিস থেকে তুলে নিয়েছে প্রতারক চক্র!
প্রকাশিতঃ ৫:০৬ অপরাহ্ণ | জুলাই ০২, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪২৩ বার
গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুদানের চেক এবার প্রতারক চক্রের খপ্পড়ে পড়েছে ময়মনসিংহে। গৌরীপুর উপজেলার অসুস্থ্য আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন আলীর (৫৬) চেক উত্তোলন করতে গিয়ে দেখেন আরেক হোসেন আলী চেক উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। কে এই হোসেন আলী প্রতারক- এ নিয়ে তোলপাড় চলছে এখন প্রশাসনে!
রোববার ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের গজন্দর গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী মিনারা বেগম জানান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টাকা উত্তোলন করতে গেলে সেখানকার অফিস সহকারী আব্দুল বারেক জানায় হোসেন আলীর নামে বরাদ্দকৃত ৩০হাজার টাকার চেক কয়েকদিন আগেই উত্তোলন করে নিয়ে গেছে।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে মিছিল করতে গিয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে মেরুদণ্ডে আঘাত পান।
এরপর স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করা হলেও হোসেনের দুটি পা ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। নিরুপায় হয়ে হোসেন আলী প্রধানমন্ত্রী বরাবর আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেন।
পরে স্থানীয় এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিধু ভুষণ দাস ও আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন আলমসহ দলীয় নেতাদের সুপারিশ ও প্রচেষ্টায় চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ হতবিল থেকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা অনুদান মঞ্জুর হয়।
এদিকে মঞ্জুরকৃত চিঠির প্রাপ্তির পর হোসেন আলীর স্ত্রী মিনারা বেগম ২৮ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন স্বামীর নামে বরাদ্দকৃত টাকার চেক উত্তোলন করে নিয়ে গেছে। হোসেন আলী ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক নাজনীন আলম বলেন, হোসেন আলী আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী। তার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের টাকার চেক প্রতারণার শিকার হয়েছে এই বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। অসুস্থ হোসেন আলীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার জন্য মানবতার মা শেখ হাসিনার প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন বলেন, অভিযোগ উঠার পর অনুদানের টাকা উত্তোলনের বিষয়টি আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কে প্রকৃত হোসেন আলী সেটা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।