আজ শনিবার , ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

বিধির কি লীলা! একই পরিবারে আট প্রতিবন্ধীর জীবন যুদ্ধের গল্প!!

প্রকাশিতঃ ২:৩২ অপরাহ্ণ | মে ৩১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫৩৯ বার

স্টাফ রিপোর্টারঃ কবির সুরে বলতে হয়-“দেখো মানুষ কেনো গরীব হয়! কর্ম দোষে দোষী হইয়া খুদাকে দোষী বানায়! বৃক্ষের মাঝে থাকে পোকা সেও খেতে চায়! বিধির লীলা বুঝা বড় দায়! জীবন কত বিচিত্র! এ সংসার সমুদ্র কতই না অদ্ভুত! কেউ থাকে রাজ প্রসাদে, কেউ থাকে ভাঙ্গা মাটির ঘরে, আবার কেউ বা থাকে গাছ তলায়। জীবন নামক রেলগাড়িতার চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে জীবনটা দুঁমড়ে মুঁচড়ে চলতে থাকে। কেউ তাদের খোঁজ রাখেনা, খোঁজ নেয়ার চেষ্টাও করেনা। এবার বলি এমনই এক জীবন যুদ্ধের গল্প যা হয়তো বিরল। হয়তো এটাও বিধির লীলা! একই পরিবারে আটটি জীবন অচল। ৮ জনই শারিরীক প্রতিবন্ধী। বেটে প্রকৃতির। উচ্চতা ৩ বা সাড়ে তিন ফুটের বেশী হবেনা। কেউ তাদের বিয়েটাও পর্যন্ত করতে চায়না। লোভের মোহে কেউ বিয়ে করলেও স্বামী যখন দেখে তার ঘড়ে প্রতিবন্ধী পুত্র জন্মলাভ করেছে তখন স্ত্রী পুত্র ফেলে স্বামী হয়ে যায় উধাও। এদের জীবনটাও সেই জীবন নামক রেলগাড়িতার চাকার নিচে পিষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। হালুয়াঘাট উপজেলার ছোটদাসপাড়া গ্রামের বাইট্টা (খাঁটো) জলিলের একটি পরিবার। সকলেই শারিরীক প্রতিবন্ধী। যা গত একশত বছরের ইতিহাস। মৃত প্রতিবন্ধী আব্দুল জলিলের কন্যা ও সাজাহানের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৪৮), সাজাহানের দুই মেয়ে সাজেদা বেগম (৩০) ও মাজেদা (২৫), সাজেদার কন্যা আফরিন (২), একই রক্তের সুত্র ধরে মৃত ফজুল হকের স্ত্রী হালিমা বেগম (৪০), আনারুলের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৩৫) ও পুত্র আশিক খান (১৬), ইয়াকুব আলীর স্ত্রী মনিরা খাতুন (৩২)। শুক্রবার সরেজমিনে ঐ প্রতিবন্ধী পরিবারের বাড়িতে কথা বলতে চাইলে প্রতিবন্ধী আনোয়ারা খাতুন বলেন, আমার পিতাও শারিরীক প্রতিবন্ধী ছিলো। তার ঘর থেকে আমি হই। আমার পরে হালিমা, এরপরে আছিয়া। এইভাবেই চলতে থাকে। তিনি আফসোস করে বলেন, মাইয়ার ঘর থেইকা খাডা (খাঁটো) পুলা হয়ছে বিধায় বাবা তারে ফালাইয়া রাইখা চইলা গেছে। আমরাতো আর ফালাইতে পারিনা! আল্লাই দিছে! এগুলারে কি মাইরা ফেলানো যাইবো! আফসোস করলে কি অইবো? মানুষ আমাদের পিছন দিয়া ইহার (ধিক্কার) দেই। রাস্তা দিয়া ঠিকমতো চলবারও পারিনা। কাজকামও করবার পারিনা। তিন চার মাস পর পর কিছু টাকা ভাতা পায় তা দ্বারা সংসার চলেনা। এদের বিষয়ে হালুয়াঘাট সমাজ সেবা অফিসার মাহফুজ ইবনে আয়্যুব বলেন, এই পরিবারে যেহেতু তিনজন ভাতা পায় সুতরাং আমদের আর ভাতা দেয়ার সুযোগ নেই। তবে অন্যান্য কিছু সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবো।

Shares