ইশ্বরগঞ্জে বালু শ্রমিক আজিজুল হত্যার আসামী মাখন আটক
প্রকাশিতঃ ১:২২ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২২ বার
ওমর ফারুক সুমন : ময়মনসিংহের ইশ্বরগঞ্জে বালু শ্রমিক আজিজুল হককে পিটিয়ে হত্যার অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম মাখনকে আটক করেছে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪। শুক্রবার রাতে
র্যাব-১৪’র উপ-পরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানাধীন জেলখানা রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। র্যাব জানায়, ২০২১ সালের ৭ মে তারিখে ইশ্বরগঞ্জের পলাশকান্দা ভারতী বাজারের দোকানি মোঃ শাহ আলম একই উপজেলার সাখুয়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে শামছুল কবীর সবুজ(৪০) এর নিকট দোকানের বাকি বাবদ ৪০০০/- টাকা চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পরে বাজারের লোকজন উক্ত ঘটনা থামায়ে দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিন বিকাল অনুমান ০৫.৩০ ঘটিকায় আসামিগন পালাশকান্দা ভারতী বাজারস্থ মোঃ শাহ আলমের দোকানের সামনে আসিয়া গালমন্দ করতে থাকে। তখন, দোকানি শাহ আলম এর চাচা মোঃ মহিউদ্দিন আজাদ মানিক ঘটনাস্থলে এসে আসামিদেরকে গালমন্দ করতে নিষেধ করেন। এ সময়, আসামিগন উত্তেজিত হয়ে ঘটনাস্থলের পাশেই থাকা জনৈক মোঃ আঃ রশিদ এর মিষ্টির দোকানের কাঠের চেলা দিয়ে প্রথমে মোঃ মহিউদ্দিন আজাদ মানিককে মারপিঠ করে হাড়ফাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। উক্ত ঘটনা দেখিয়া দোকানি শাহ আলম এর চাচা ভিকটিম আজিজুল হক (৩৯) এগিয়ে এসে আসামিদের মারপিঠ না করার জন্য বাঁধা নিষেধ করলে আসামি সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, আব্দুল কাইয়ুম সোহেল, আমিনুল ইসলাম মাখন, মাসুদ রানা, রাহাদুল মামুন রয়েল ভিকটিম আজিজুল হক এর মাথায়, চোখে, কানে, বুকে বারি দিয়ে হাড়ফাটা গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। আসামিরা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ভিকটিম আজিজুল হক‘কে এলোপাথারি আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। পরে, ভিকটিমের স্বজনরা গুরুতর জখমী অবস্থায় ভিকটিম আজিজুল হক‘কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভিকটিমকে ঢাকায় রেফার্ড করলে ঐদিন সন্ধার সময় পথিমধ্যেই ভিকটিম আজিজুল হক(৩৯) মৃত্যুবরণ করেন। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাঃ জোসনা আক্তার (৩২) বাদী হয়ে এজাহারনামীয় ১২ জন‘সহ অজ্ঞাতনামা আরো ০৮/১০ জন‘কে আসামী করে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।