আজ শুক্রবার , ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা হালুয়াঘাট ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে হাঁস-মুরগি বিতরণ ইশ্বরগঞ্জে বালু শ্রমিক আজিজুল হত্যার আসামী মাখন আটক শিক্ষার্থীদের বেতন অর্ধেক করে দিতে হবে-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে তেলের দোকানে অগ্নিকান্ড ম্যানেজিং কমিটির, সভাপতির পক্ষ থেকে জিপিএ-৫ পেলেই মিলবে ল্যাপটপ! হালুয়াঘাটে যুগান্তর স্বজন সমাবেশে কেক কাটলেন এমপি ‘সায়েম’ শিক্ষার্থীদেরকে নীতিকথা শোনাতে হবে- ইউএনও নালিতাবাড়ী নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে আসছেন ‘হাজী মোশারফ’ নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী ‘হাজী মোশারফ ‘ নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হতে চান “হাজী মোশারফ”

বাবার মৃত্যুর ৩ বছর পর সন্তানের জন্ম

প্রকাশিতঃ ৮:৪২ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৯, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৭২১ বার

নিউজ ডেস্ক: বাবার মৃত্যুর তিন বছর পর, তার মৃত্যুদিনেই স্ত্রীর কোল আলো করে এল এক ছেলে। এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ের জসলোক হাসপাতালে।

সুপ্রিয়া জৈন নামে ৩০ বছরের ওই যুবতী এ জন্য চিকিৎসক, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকেই ধন্যবাদ দিয়েছেন।

আদতে জয়পুরের বাসিন্দা হলেও গৌরব এবং সুপ্রিয়া, দুইজনেই কর্মসূত্রে ব্যাঙ্গালুরুতে থাকতেন। বিয়ের পাঁচ বছর পর সন্তানের কামনায় চেষ্টা শুরু করেন তারা। কিন্তু স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তান না আসায় ২০১৫ সালে সন্তান ধারণের আধুনিক প্রযুক্তি আইভিএফ এর সাহায্য নিতে শুরু করেন তারা।

চিকিৎসা চলাকালীনই কর্নাটকের হুবলির কাছে ট্রাকের ধাক্কায় পিষে যান গাড়ি সহ গৌরব। স্বামীর মৃত্যুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পর শ্বশুরবাড়ি এবং বাপেরবাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়েই সুপ্রিয়া সিদ্ধান্ত নেন তিনি গৌরবের সন্তানের জন্ম দেবেন।

সেই মতো এক বন্ধুর পরামর্শে মুম্বাইয়ের চিকিৎসক ফিরুজা পারিখের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সুপ্রিয়া। এ জন্য শারীরিক ধকলের সঙ্গে আর্থিক খরচও বহন করতে রাজি সুপ্রিয়া জসলোক হাসপাতালের কাছে নিজের থাকার অস্থায়ী বন্দোবস্তও করে ফেলেন।

ফিরুজা জানান, যেহেতু এ ধরনের ঘটনায় শুধু শারীরিকই নয় মানসিক ধকলও খুব বেশি হয় সে জন্য তারা সুপ্রিয়াকে পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রথমে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে। সুপ্রিয়া সেই প্রক্রিয়া পেরনোর পরই শুরু হয় আইভিএফ পদ্ধতিতে শিশুর জন্মের প্রক্রিয়া।

তিনি আরও জানান, বেশ কয়েকবার তাদের পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছিল। এবার ব্যর্থ হলে গৌরবের শুক্রাণু নষ্ট হয়ে যেতো। অবশেষে সারোগেট পদ্ধতিতে ফল মেলে। সুপ্রিয়ার হাতে তার সন্তানকে তুলে দিতে পেরে খুশি জসলোক হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

এর আগে গৌরবের মৃত্যুবার্ষিকীতে ব্যাঙ্গালুরু ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতেন সুপ্রিয়া। এবছরও তিনি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ছিলেন। যখন জসলোক হাসপাতালের তরফে তাকে ফোন করে জানানো হয় তার সন্তান জন্মেছে।

তৎক্ষণাৎ ফিরে আসেন সুপ্রিয়া এবং স্বামীর মৃত্যুবার্ষিকীতেই তার সন্তানকে কোলে পেয়ে জানালেন, তিনি শুধু সন্তান চাননি, চেয়েছিলেন গৌরবের সন্তান।

Shares