পরিচয় গোপন করে দুই বোনের শিক্ষকতার চাকরি। এক জনের শুনানি অনুষ্ঠিত
প্রকাশিতঃ ১২:৫২ পূর্বাহ্ণ | এপ্রিল ১১, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৮২ বার
স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজের প্রকৃত পরিচয় আড়াল করে সহোদর দুই বোনের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরি নেয়ার অভিযোগে দুই শিক্ষিকার মধ্যে এক জনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে হালুয়াঘাট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে উক্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। হালুয়াঘাট প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে এ তথ্য জানা যায়। সুত্র জানায়,শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বরুয়াজানী গ্রামের তাহিরা খানম রুম্মান ও ফাতেমা জান্নাত মৌরি নিজের স্থায়ী ঠিকানা আড়াল করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার স্থায়ী ঠিকানা ব্যবহার করে চাকরি গ্রহণ করেন। এক্ষেত্রে চাকরি নেয়ার সময় নিজের প্রকৃত পরিচয় আড়াল্করেন। নিয়োগবিধি বহির্ভূতভাবে চাকরি নেয়ায় বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নজরে আসলে তা প্রকাশ ঘটে যায়। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার খবর প্রচারিত হয়। ফলে অনিয়মের মাধ্যমে চাকরি নেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ। পরে ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: শফিউল হকের নির্দেশে তদন্তের ভার আসে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে। নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে দুই শিক্ষিকাকে পর পর কয়েকবার নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে অফিসে হাজির হয়ে কারন দর্শানোর লিখিত নোটিশ প্রদান করা হয়। তৃতীয় নোটিশ প্রাপ্তির পর গতকাল রবিবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে হাজির হন শিক্ষিকা তাহিরা খানম রুম্মান।শিক্ষা অফিস জানায়, শিক্ষিকা তার প্রকৃত পরিচয়ের কথা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা অফিসার মুনজুরুল হাসান জুয়েল বলেন, এক শিক্ষিকা অসুস্থ থাকায় উপস্থিত হয়নি। অপর শিক্ষিকা উপস্থিত হয়ে তার কাগজপত্র ও প্রকৃত ঘটনা উল্লেখপূর্বক লিখিত জবানবন্দি দিয়ে গেছে। শিক্ষিকার বাড়ী শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বরুয়াজানী গ্রামের। স্থায়ী ঠিকানা বরুয়াজানী গ্রামেই। তিনি বলেন, ভুঁয়া ঠিকানা সাজিয়ে চাকরি নেয়ার পিছনে তার বোন জামাই আনোয়ার হোসেন জড়িত ছিলো মর্মে শিক্ষিকা জানিয়েছেন। খুব দ্রুতই তদন্ত শেষ করে জেলা অফিসে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।