নালিতাবাড়ীতে কমিউনিটি ক্লিনিক নিলামে ব্যাপক অনিয়ম
প্রকাশিতঃ ৮:৪৫ অপরাহ্ণ | জুন ০৮, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১৩৬ বার
দৌলত হোসাইন, নালিতাবাড়ী সংবাদদাতাঃ শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন সরকারি সাতটি কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরাতন ভবন অপসারণ নিলামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নির্মাণ অধিশাখার নির্মাণ কমিটি কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক পুরাতন জরাজীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবন সমূহ নিলাম প্রাক্কলন অনুযায়ী মূল্য নির্ধারন এবং অপসারণের জন্য গঠিত ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক আহমেদ ও স্থানীয় তিনটি পরিবারের সাথে যোগসাজশে মাত্র এক লাখ ২২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। অন্যান্যরা বলছেন যদি সবাইকে জানানো হতো, তবে ৫ লক্ষাধিক টাকায় তা বিক্রি করা যেতো। মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গোপনে নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। পুরাতন ভবন অপসারণ নিলামের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ঠিকাদাররা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। জানা যায়, উপজেলার ঘাইলারা, সোহাগপুর, সন্ন্যাসিভিটা, দোহালিয়া, ডহরিয়াপাড়া, বালুঘাটা ও কালাকুমা কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরাতন ভবন অপসারণের জন্য প্রকাশ্যে নিলাম আহ্বান করা হয়। বহুল প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক আহমেদ মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে সাতটি কমিউনিটি ক্লিনিকের পুরাতন ভবন অপসারণের জন্য স্থানীয় তিনটি পরিবারের মাঝে নামমাত্র খুবই অল্প মূল্যে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় ঠিকাদার বাবুল মিয়া, হারুন অর রশিদ, দেলোয়ার হোসেন রিপন, মিনহাজুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেখে নিলাম বাতিল ও দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের সভাপতি ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির উপদেষ্টা হওয়া সত্ত্বেও আমাকে না জানিয়ে সরকারকে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা একটি গোষ্ঠির সাথে নেগোসিয়েট করে এ নিলাম কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে, এ নিলাম বাতিল ও তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন বলেও চেয়ারম্যান জানান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক আহমেদ বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে উন্মুক্ত নিলামের ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে,তবে উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে না জানানো ভুল হয়েছে, এর জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শেরপুরের সিভিল সার্জন ও নিলাম কমিটির আহবায়ক ডাঃ অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, সরকারী নিয়ম মেনেই ওপেন নিলাম ডাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তবে উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি না জানিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভুল করেছেন,পরবর্তীতে যাতে এমন ভুল না হয় এর জন্য তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।