বাউফলে এক সুপারের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার নামে জমি দখলের অভিযোগ
প্রকাশিতঃ ১১:১৯ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০৮, ২০১৯ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫৭২ বার
তোফাজ্জেল হোসেন,বাউফল(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ও মাদ্রাসার নাম ব্যবহার করে জমি দখল করার উদ্দ্যোশে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষের দরজা ও আলমিরা ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে। ওই ব্যাক্তি হলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রহমতনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্র্রাসার সুপার আতিকুর রহমান। আজ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রামনগর গ্রামের আলী আকবর মুন্সি গংদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের আমিনুল ইসলাম রেদওয়ান গংদের ৭৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। কয়েকদিন পূর্বে ওই বিরোধপূর্ন জমি দখল করার উদ্দ্যেশে রহমতনগর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্ধারিত জমি লিখে একটি সাইনবোর্ড লাগায় রেদওয়ানের ভাই ওই মাদ্রাসার সুপার আতিক। অথচ ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। আদালতে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ওই জমি কোন পক্ষ ভোগ দখল করতে পারবে না আদালতের এমন নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে মুন্সি আলী আকবর ওই জমির সাইনবোর্ড ভেঙ্গে ফেলে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ওই মাদ্রসার সভাপতি রেদওয়ানের নির্দেশে সুপার নিজেই নিজ প্রতিষ্ঠানের অফিস কক্ষের দরজা ও কাঠের আলমিরা ভেঙ্গে ফেলে ।
আলী আকবর মুন্সি বলেন, ক্রয় ও ওয়ারিশ সূত্রে ওই জমির মালিক আমরা। আমাদের এক ওয়ারিশের কাছ থেকে রেদওয়ান ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। অথচ মাদ্রাসার নাম দিয়ে তারা ভোগ দখল করার চষ্টা করছে ৭৪ শতাংশ জমি। এতে বাধা দিলে সুপার আমাদেরকে ফাঁসাতে নিজেই মাদ্রার আফিস কক্ষের দরজা ও আলমিরা ভেঙ্গে হয়রানি মুলক মামলা করার পায়তারা করছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন সুপার আতিকুর রহমান বলেন, আলী আকবর মুন্সি নিজেই মাদ্রাসার অফিস কক্ষের দরজা ও জানালা ভেঙ্গেছে।
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।