আজ শনিবার , ১৩ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ ৯৮ দিন কারাভোগের পর নিজ এলাকায় বিএনপি নেতা প্রিন্সকে সংবর্ধনা

দৃষ্টিনন্দন বাসা তৈরির দক্ষ কারিগর দর্জি পাখি টুনটুনি!

প্রকাশিতঃ ৪:২৮ অপরাহ্ণ | জুন ১৩, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১,৬১৭ বার

ওমর ফারুক সুমন: ময়মনসিংহের  হালুয়াঘাট সহ কোথাও আর আগের মত টুনটুনির ডাক শোনা যায় না। বন, জঙ্গল, ঝোপ-ঝাড় কমে যাওয়ায় ক্রমশ কমে যাচ্ছে আমাদের অতি চেনা পাখি টুনটুনি, নীল টুনটুনি, দুর্গা টুনটুনি, বেগুন টুনটুনি, মধু চমকি, মোটশকি সহ আরও কত নাম। আকারে ছোট এই পাখিটিকে আসলে যতটা চালাক ভাবা হয় বাস্তবে আসলে তা নয়। এরা মানুষের কাছাকাছি থাকতে ভালবাসে। টুনটুনিকে দর্জি পাখি বলা হয়। সূঁচের মত ধারালো ঠোট দিয়ে শৈলিক বুননে টুনটুনি তৈরি করে তার নিজের বাসা। দৃষ্টিনন্দন এই বাসা দেখে এটা যে ছোট্ট টুনটুনির তৈরি এই বাসা তা অবিশ্বাস্য মনে হলেও আসলে এর কারিগর কিন্তু টুনটুনিই। এই টুনটুনিকে নিয়ে কত গল্প কবিতাই না আছে। কারণ এরা ঠোঁট দিয়ে গাছের পাতা সেলাই করে দক্ষতার সাথে চমৎকার বাসা তৈরি করে। এরা সাধারণত ছোট-মাঝারি উঁচু গাছের পাতায় অথবা কোন ঝাড় জাতীয় গাছে যেমন শিম, লাউ, কাঠ বাদাম, সূর্যমুখী, ডুমুর, লেবু, মেহগনি এরকম গাছের পাতায় বাসা বাধতে পছন্দ করে। টুনটুনি পাখি নারি-পুরুষ উভয় মিলে গাছের বড় ২-৩ টি পাতা সেলাই দিয়ে বাসা তৈরি করে। একটি বাসা তৈরি করতে এক জোড়া টুনটুনি দম্পতির সময় লাগে তিন থেকে পাঁচ দিন। পাখির পালক, গরু-ঘোড়ার চুল, লতা, তুলা সুতা মিশিয়ে দৃষ্টিনন্দন বাসা বানায়। এরা বাসা বাধে বছরের ফাল্গুন মাস থেকে আশ্বিন মাসের মধ্যে। বাসা তৈরি শেষ হলেই ৪-৫ টি ডিম পাড়ে। টুনটুনি ডিমে তা দিয়ে ১০ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটায়। আর দশ দিনের মধ্যেই বাচ্চাসহ বাসা ত্যাগ করে টুনটুনি। অনেক সময় নিচু জায়গায় বাসা তৈরি করায় বন্য প্রাণীর আক্রমন করে বাচ্চা বড় হওয়ার আগেই খেয়ে ফেলে। আবার পাতার গাছ থেকে ঝড়ে ডিম ও বাচ্চাসহ মাটিতে পড়ে যায়। ছোট ছেলে-মেয়েদের টুনটুনির বাসার প্রতি থাকে তীব্র আকর্ষণ। তারাও দুষ্টুমি করে বাসা নষ্ট করে। এভাবেই কমে যাচ্ছে টুনটুনি। ছোট্ট এই পাখিটি খুবই চঞ্চল। সারাক্ষণ ওড়াউড়ি করে দুরন্ত বালকের মতো। ওড়ার সময় পিঠের ওপরের লেজ নাড়িয়ে টুই টুই শব্দ করে উড়ে বেড়ায়। চোখে না দেখলে এই পাখির ডাক শুনে মনেই হবে না এরা আকারে এতই ছোট। এদের ডাক খুব তীব্র এবং অনেক দূর থেকে শোনা যায়। চঞ্চল স্বভাবের টুনটুনি এক জায়গায় কখনও স্থির থাকেনা। ছোটাছুটি করে সময় কাটায়। অনেক সময় টুনটুনি নিচু জায়গায় বাসা তৈরি করায় বন্য প্রাণির আক্রমন করে বাচ্চা বড় হওয়ার আগেই খেয়ে ফেলে। আবার পাতা গাছ থেকে ঝড়ে ডিম বা বাচ্চাসহ মাটিতে পড়ে যায়। ছোট ছেলে-মেয়েদের টুনটুনির বাসার প্রতি থাকে তীব্র আকর্ষণ। তারাও দুষ্টমি করে বাসা বিনষ্ট করে। এভাবেই কমে যা্চ্েছ টুনটুনি । এখন আর আগের মত টুনটুনির টুইটুই ডাক শুনা যায়না। টুনটুনির লেজ দেখতে অনেকটা আকর্ষনীয়। পালকরে রঙ জলপাই সবুজ। মাথায় লাল আভা। লম্বা ঠোঁটের রঙ কালচে খয়েরি। পায়ের রঙ হলুদাভ। বুক ও পেটের রঙ ঘোলাটে সাদা। ফসলের জন্য ক্ষতিকর পোকা-মাকড় খেয়ে পরিবেশ সুন্দর রাখে টুনটুনি। ফুলের মধুই টুনটুনির প্রিয় খাবার। ফুলে ফুলে ঘুরে পরাগয়ণেও সাহায্য করে। আম পাতার বিছা-পোকা তাদের খাদ্য তালিকায় অন্যতম।

 

Shares