মিতুর প্রতারণার ফাঁদ
প্রকাশিতঃ ১২:১৫ অপরাহ্ণ | ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৩৬ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুর জেলায় গ্যাস সংযোগ এর কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে প্রতারণা করে লক্ষ লক্ষ টাক হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সে বর্তমানে সরেজমিন বার্তার সিনিয়র সাংবাদিক পরিচয়দানকারী শারমিন সুলতানা মিতু।
এ ব্যপারে ভূক্তভোগী লোকজন ঐ প্রতারক নারী সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভিডিও বার্তায়।
গাজীপুর জেলার সদর উপজেলায় কাউতৈল এলাকার বাবুল সরদারের মেয়ে শারমিন সুলতানা মিতু কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার সাইদুর রহমানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় দাম্পত্য জীবনে দুটি সন্তানের মা হয়েছেন, স্বামী সন্তান পিত্রালয়ে রেখে সাংবাদিকতার নামে ঘর থেকে বেড়িয়ে মাদকাসক্তদের সাথে জড়িয়ে পরে ইয়াবা নেশাগ্রস্ত হয়ে মাদকের টাকা জোগাড় করতে বহুমুখী প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিশেষ করে শ্রীপুর উপজেলা এলাকায় বাড়ী ঘরে গ্যাস লাইনের সংযোগ দিবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করে প্রায় ১০ (দশ) লক্ষ টাকা হাতিয়ার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সকল ঘটনায় তাঁর স্বামী তাকে ফেলে চলে যায় কয়েক বছর আগেই। জানা যায় স্বামী স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ঢাকার মীরপুরে বান্ধবীকে নিয়ে রঙ্গশালা খুলে বসবাস করছে। মাঝে মধ্যে ফেসবুকে গানের আড্ডার আসর জমিয়ে লোকজনকে আকৃষ্ট করে থাকে বলে সূত্রে জানা গেছে।
ভূক্তভূগি ৫ জন ভিডিও সাক্ষাৎকারে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন। গত সংসদ নির্বাচনের আগে এরুপ প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রতারণার শিকার মিজানুর রহমান, শাখাওয়াতদের নিকট থেকে ৪ লাখ টাকা, শামছুল হকদের নিকট থেকে ৮৩টি গ্যাসচুল্লী লাগিয়ে দিবে বলে ২ লাখ ৬৩ হাজার টাকা, দুলাল দপ্তরির নিকট থেকে ১লাখ ৬৫ হাজার টাকা রুহুল আমীন ও তাসলিমার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে বৈধ গ্যাসের চুলা লাগিয়ে দিবে নারী সাংবাদিক মিতু, এমন প্রতারণার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসহায় মানুষ গুলির টাকা নিয়ে সটকে পরে। এর আগে ২০১৫ সালে ভূয়া ম্যাজিষ্ট্রেট ডিবি পুলিশের পরিচয়ে কাপাসিয়া উপজেলায় প্রতারণা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পরে দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিল। এই নারী সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে গাজীপুর শ্রীপুরসহ বিভিন্ন থানায় রয়েছ একাধিক জিডি ও মামলা সে নিজেকে বাঁচাতে গাজীপুর জেলা থেকে ঢাকায় আত্মগোপন করে এবং সকল কিছু গোপন রেখে সাংবাদিক সংগঠনে যুক্ত হয় বলে জানা গেছে। সূত্রটি আরো জানায় তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্বসাৎ, মাদক সংশ্লিষ্টতা, প্রতারণা ও নানা অভিযোগে বিএমএসএফ থেকে বহিস্কার করা হয়। এসকল বিষয়ে কথা বলার জন্য নারী সাংবাদিক মিতুর মুঠো ফোন ০১৯১৮৩৬৭৪৪৪ নাম্বারে কল দিয়ে পাওয়া যায় নাই ।
এছাড়াও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় এই নারী সাংবাদিক এর গডফাদার ধর্ষণ মামলার আসামি শহিদুল ইসলাম পাইলট, প্রতারণা মাদক সংশ্লিষ্টতায় জড়িত সাইদুর রহমান রিমন সহ ওদের সংঙ্গবদ্ধ দলের ৭ জনকে বিএমএসএফ থেকে বহিস্কার করা হয় বলে গনমাধ্যমকে বিএমএসএফ’র প্রধান সমন্বয়ক আহমেদ আবু জাফর নিশ্চিত করেছেন।