পাহাড়ী ঢলের আকস্মিক বন্যায় হালুয়াঘাটে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘর বিধ্বস্ত
প্রকাশিতঃ ১:১২ অপরাহ্ণ | জুলাই ০৪, ২০২১ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩০২ বার
ওমর ফারুক সুমনঃ একদিকে লকডাউন আর অন্যদিকে আকস্মিক বন্যা! ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের সীমান্ত এলাকায় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের আকস্মিক বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে পাঁচ শতাধিক কাচা ঘর বাড়ী! সব কিছু হারিয়ে বিপাকে পড়েছে পাহাড়ী এলাকার নিন্ম আয়ের মানুষগুলো। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া লোকজনের মাঝে তেমন কোনো সাহায্য না পৌছায় হতাশার মাঝে দিনযাপন করছে ক্ষতিগ্রস্তরা। বন্যাকবলিত এলাকা থেকে ঘুরে এসে জানা যায় এমন তথ্য। উপজেলার সংড়া পলাশতলা গ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী গারো সম্প্রদায়ের অর্ধশত মাটির দালান ভেঙ্গে যায়। সরেজমিনে দুটি গ্রামে উপস্থিত হলে দেখা যায় এমন করুন দৃশ্য। ভাঙ্গা ঘর মেরামত করতে না পেরে অনেক গারোরা কষ্টে দিনাতিপাত করছে। রবিবার তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, গত জীবনে এমন পানি দেখেনি তারা। হঠাৎ পাহাড়ী ঢলে মুহুর্তের মাঝেই ঘরবাড়ী তলিয়ে যায়। দক্ষিন মনিকুড়া মিশন স্কুল রোডের সালমা (৩৫) ও নাজমা (৫২) বলেন, বন্যায় তাদের ঘর ভেঙ্গে পড়ায় সেন্ট মেরিস উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের কাছে ত্রাণ পৌছায়নি বলে দাবী তাদের। এইভাবে শুধু সংড়া-পলাশতলা গ্রামে নয়, হালুয়াঘাট উপজেলার ৪/৫ ইউনিয়নের শত শত কাচা বাড়ী ঘর বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে গেছে এমন দৃশ্য ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে পাহাড়ী এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকদের একটি বিরাট অংশ পাহাড়ী এলাকায় মাটির ঘরে বসবাস করে। ক্ষতির পরিমানটা তাদেরই বেশি হয়েছে বলে জানা যায়। এছাড়া নিচু এলাকায় যাদের বসবাস সেখানকার ক্ষতির পরিমানটাও কম নয়। অনেকেরই ঘর বাড়ী বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। বন্যার পানি কমতে শুরু হলেও রয়ে গেছে তার ক্ষতিকর প্রভাব। খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে বহু হতদরিদ্রদের ঘরে। এমতাবস্থায় সাহায্যের দাবী জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত সকলেই। হালুয়াঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুল হক সায়েম বলেন, ইতিমধ্যে বন্যায় বিধ্বস্ত ঘরবাড়ী হারানো ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের তালিকা তৈরি করে সাহায্যের আবেদন পাঠানো হয়েছে। বন্যায় পানি চলে গেলেও চলে যায়নি দুর্ভোগ। ঘরবাড়ী হারিয়ে বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষেরা। তাই দ্রুত সাহায্যের দাবী ভুক্তভোগীদের। ###