হালুয়াঘাটের প্রতিবন্ধী ‘অতুলা’ রাস্তার পাশেই কাটালেন ৩৫টি বৎসর
প্রকাশিতঃ ১১:৪১ অপরাহ্ণ | জুন ২০, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৯২ বার
ওমর ফারুক সুমন : স্বপ্নবিহীন শারিরীক প্রতিবন্ধী অতুলা খাতুন রাস্তার পাশেই বসে কাটিয়ে দিলেন ৩৫ টি বৎসর। হালুয়াঘাট উপজেলার আশ্রমপাড়া গ্রামেই তার ঠিকানা।বাবা হযরত আলি দিনমজুরের কাজ করেন। মা থেকেও নেই। অভাব গ্রাস করে রেখেছে চারিদিকে। দুই ভাই দুই বোনের মাঝে অতুলা সবার বড়। অতুলার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর হবে। অতুলার সাথে কথা বললে তিনি জানান, তার জীবনে কোন স্বপ্ন নেই। তিনি আর কখনো স্বপ্ন দেখতে চাননা। রাস্তাই তার স্বপ্ন,রাস্তাই তার সব। রাস্তার পাশেই ঘিরে রয়েছে তার জীবন, সান্নিধ্য ও সকল ভালোবাসা। প্রতিদিন রাস্তার পাশেই বসে থাকেন স্বপ্নবিহীন শারিরীক প্রতিবন্ধী অতুলা খাতুন নামের এই হতভাগ্য নারী। রাস্তার উপড় দিয়ে পথচলা হাজারো পথিকের দর্শন ছাড়া তেমন আর কিছু তাকে স্পর্শ করতে পারেনা। কেউ যদি খুশি হয়ে দু’চারটা টাকা দেয় সেটাই তিনি খুশি মনে গ্রহণ করেন। বাড়ির সামনে হাইওয়ে রাস্তাই তার একমাত্র স্বপ্ন। ঘুম থেকে ওঠেই হামাগুড়ি দিয়ে কোনমতে চলে আসেন রাস্তার ধারে। একটুকরো কাপড় আর আরেকটি বসার জন্যে কাঠের পিঁড়িই হচ্ছে তার স্বপ্ন দেখার একমাত্র হাতিয়ার। জীবনের সব সুখ তার জীবন থেকে হারিয়ে রাস্তার দ্বারে বসে কাটিয়েছেন জীবনের মুল্যবান সময়টুকু। রাস্তা দিয়ে যখন শত শত পথিক তাকে অতিক্রম করে তখন অতুলা ফেঁল ফেঁল করে তাকিয়ে থাকে। কি যেন বলতে চায়। কিন্তু কে শুনে তার কথা। কারো যদি একটু সহানুভূতি জাগে দু’চার টাকা দিয়ে পথ মাপে। শেরপুরের লতিফ নামে একলোকের সাথে তার বিয়ে হয়েছিলো। বিয়ে হলেও খেলাঘরের মত ভেঙে যায় বলে জানান অতুলা খাতুন। এখন আর কোন স্বপ্ন দেখতে চাননা তিনি। তার ধারনা বিধাতা তাকে স্বপ্ন দেখার জন্যে সৃষ্টি করেনি। স্বপ্নের কথা জিজ্ঞেস করলে চোখের কোনে জল এসে যায় তার। ###
ওমর ফারুক সুমন
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
মোবাইলঃ০১৭২৯-৭১৬০১৪
তারিখঃ ২১-০৬-১৮