বিরল রোগে আক্রান্ত আহসান বাঁচতে চায়!
প্রকাশিতঃ ৭:৪০ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৫৮ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ আহসান উল্লাহ। বয়স ২৮ বছর। জন্মের পর বাবা-মাকে হারিয়ে এতিম অসহায় হয়ে দিনাতিপাত করছেন। ৫ বছর বয়সেই দুরারোগ্য ব্যাধি ফাইলেরিয়া (গোধ) রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বেঁছে আছেন কোন রকম। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নড়তেও পারেন না ঠিকভাবে। পায়খানা প্র¯্রাবসহ প্রতিটা কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার সৎ মা ও ছোট বোন। পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় আক্ষেপটা আরো একটু বেশি। ছোট ৩ বোন ও দুই ভাইয়ের সংসার পরিচালনায় ব্যার্থ হয়ে ভেঙ্গে পড়েছেন আরো বেশি।
আহসান উল্লাহ কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের মৃত. সফিকুর রহমান মজুমদারের বড় ছেলে। পরিবারে অভাবের কারণে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে তার। এতে দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। জানা যায়, ৫ ভাই বোনের মধ্যে আহসান সবার বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি সে। গর্ভধারিনী মায়ের মৃত্যুর পর তাদের দেখাশুনার জন্য তার পিতা আরেকটি বিয়ে করেন। কিছুদিন পর পিতাও চলে যান তাদের এতিম করে। হতদরিদ্র পরিবার হওয়ায় এমনিতেই অভাব-অনটনে কাটছে তাদের সংসার। এর উপর ৫ বছর বয়সেই আহসান আক্রান্ত হয় দুরারোগ্য ব্যাধি ফাইলেরিয়া (গোধ) রোগে। পরিবারের উপার্জনক্ষম বড় ছেলে যখন মৃত্যু পথযাত্রী, তখন ছোট ভাই-বোনকে নিয়ে অসহায়ভাবে দিনাতিপাত করছে সৎ মা। পাড়া প্রতিবেশীর সামান্য সহযোগীতায় পরিবারটি বেঁচে আছে কোন রকম।
একই বাড়ির সমাজ সেবক ফয়েজ আহমেদ মজুমদার ও ছাত্রনেতা মহিন উদ্দিন জানান, আহসান ছোটকাল থেকেই এই দুরারোগ্য ব্যাধি ফাইলেরিয়া (গোধ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এতিম আহসানকে গ্রামবাসী কিছু সাহায্য সহযোগিতা করে কিছুদিন চিকিৎসা খরচ চালিয়েছিল। এই রোগটি দিনদিন বেড়ে যাওয়ায় এখন উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। হতদরিদ্র পরিবার হওয়ায় তা ব্যয়ভার বহন করতে পরিবারটি অক্ষম। গ্রামবাসী ঢাকা ফাইলেরিয়া এন্ড জেনারেল হসপিটালে আহসানকে নিয়ে গেলে প্রফেসর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন তাকে দ্রæত ভারত নেওয়ার পরামর্শ দেন এবং চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে জানান। এই অবস্থায় আহসানের চিকিৎসায় দানবীর, প্রবাসী মানবপ্রেমী ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আকুতি জানান তারা। আহসানকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা, পার্সোনাল বিকাশ নাম্বার: ০১৭১৬-৭৩৯৬৩৩,যোগাযোগ (রোগী): আহসান উল্লাহ: ০১৭৪১-৮৪৩০৮৯।