চট্টগ্রামে ২৯৯ করোনা রোগী নিখোঁজ
প্রকাশিতঃ ২:১৫ অপরাহ্ণ | জুন ২০, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৫৯ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিখোঁজ রোগীর সংখ্যা ২৯৯ জন। যাদের কারণে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন এক্সপ্রেসওয়েতে। যারা হয়ে উঠেছে নীরব ঘাতক। এমন আশঙ্কা চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের। এদের খুঁজে না পেয়ে হতাশ চট্টগ্রামের পুলিশ প্রশাসন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ খান জানিয়েছেন, করোনা চিকিৎসায় নিয়োজিতদের অসাবধানতার কারণে সংক্রমিত নিখোঁজ রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে চট্টগ্রামে। তিনি জানান, গত ৩ জুন পর্যন্ত যেখানে করোনা সংক্রমিত নিখোঁজ রোগীর সংখ্যা ছিল ৮৫ জন। সেখানে মাত্র ১৬ দিনে সে সংখ্যা আরো ২১৪ জন বেড়ে গেছে। অথচ এর আগে করোনার নমুনা সংগ্রহের সময় নমুনা দাতার পূর্ণ ঠিকানা, মোবাইল নাম্বার এমনকি এনআইডি কার্ডের ফটোকপি সংগ্রহের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।
যা অনুসরণ না করায় নিখোঁজ রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। আবার এন্ট্রি করার সময় নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্রেও এদের ফোন নম্বর ভুল বা ডিজিট কম লেখা হয়েছে। যার কারণে তাদের খোঁজে বের করা দু:সাধ্য হয়ে পড়েছে। আব্দুল ওয়ারিশ খান বলেন, অনেকগুলো নম্বরেই অসমপূর্ণ ঠিকানা থাকে। যেগুলো আমরা লিস্টে দেয়া নম্বর ট্র্যাক করে বের করি। কিন্তু এই নম্বরগুলো ট্র্যাক করাও সম্ভব হয়নি। কারণ হয় নম্বরগুলো বন্ধ, না হলে ১১ ডিজিটের জায়গায় ১০ ডিজিট। ফলে অধরাই রয়ে গেছে আক্রান্তরা। এ জন্য তাদের বাসস্থান লকডাউন করা যাচ্ছে না। এতে লোকগুলো জানতেই পারলো না তারা করোনা আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে নিজের অজান্তেই তারা চট্টগ্রামজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাচ্ছে। চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে এখন এক্সপ্রেসওয়েতে। এর পেছনে নিরব ঘাতক হয়ে কাজ করছে নিখোঁজ এসব করোনা রোগী। হয়তো এসব রোগীরাই বেশি মারা যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ বলেন, নগরীর বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষা করা ২৯৯ জনের নমুনা পড়ে আছে। এরা সবাই করোনা পজেটিভ। কিন্তু এদের সঠিক কোন ঠিকানা বা ফোন নম্বর না থাকায় পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে তাদের জানানো সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, রোগী নমুনা দেওয়ার সময় তথ্য প্রদানের ফরমে ভুল করতে পারেন। আবার সেই ফরমে তিনি ঠিক লিখলেও সেখান থেকে ইনপুট দেওয়ার সময় দায়িত্বরত ব্যক্তিও ভুল করতে পারেন। এ দুই ক্ষেত্রে সতর্কতা না বাড়ালে এই সংখ্যা আরও বাড়বে। চট্টগ্রাম জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, লাপাত্তা রোগীরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তারে বড় ভূমিকা রাখছে বলে আমাদের ধারণা। অনেককে খুঁজতে ১৪ দিন পার হয়ে গেছে। এর মধ্যে তারা যে সুস্থদের সংসপর্শে যায়নি, সেটা তো আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।