হালুয়াঘাটের হাসমত, ফুসফুসে ঘা! ছোট্ট মেয়েটার জন্যে বাঁচতে চায়!
প্রকাশিতঃ ৫:৩২ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৫২ বার
ওমর ফারুক সুমন, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) থেকেঃ
বাবা আমার লেহান কষ্ট আর জনমে কেউ করেনা! আমি কোন কাজকাম করবার পায়না। ফুসফুসে ঘা! ৪ বৎসর যাবৎ অসুখে ভোগতাছি!কত কষ্টই না করতাছি। হুনছি আইন্নে গরীব মাইনসের লেইগা কষ্ট করেন। খবর প্রচার করেন। তাই আইন্নের কাছে একজনে পাঠাইছে। আমার আর চলার উপায় নেই! প্রতিসপ্তাহে অসুধ কিনা লাগে।টেহার লেইগা অসুধ কিনবার পাইনা! জায়গা জমি নাই! মাইনসের জায়গায় থাহি বাবা! স্ত্রী মাইনসের বাড়িতে কাজ করেন! একসের আধসের চাল পায় তা দিয়ে পেটই চলেনা। ছোট্ট একটা মাইয়া আছে। ক্লাস ফোরে পড়ে। আমি মাইয়াডার লেইগা বাঁচবার চাই! এইভাবেই কাকুতি জানালেন হালুয়াঘাট উপজেলার রঘূনাথপুর গ্রামের ভূমিহীন হাসমত আলী (৬৫)। হাসমত ফুসফুসে আক্রান্ত হয়ে এই চার বছরে শেরপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিএমএইচ, মোহাখালী, পপুলারে চিকিৎসা নিয়ে এখন সে সর্বশ্বান্ত। ফকির! তার স্ত্রী মানুষের বাড়িতে রান্নাবান্নার কাজ করেন। দিনে ৫০-৬০ টাকা পায়। তা দিয়েই খেয়ে না খেয়ে পড়ে থাকে। ছোট্ট ফুটফুটে মেয়েটার জন্যে খুব চিন্তিত হাসমত। একটু লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করে মানুষ করবে সেই চিন্তাটা তাকে আরও কষ্ট দেয়। স্ত্রী সুফিয়া খাতুন বলেন, ৪/৫ বৎসর ওরে নিয়া টানাহেচড়া করতাছি! চলবার পায়না বাবা! মাইনসের বাড়িতে রান্নাবান্না করি। চাইড্ডা ডাইল ভাত দিলে ওরে আইনা খাওয়ায়। আমি বেডি মানুষ। কি আর করার আছে। ছেলে নাই! ছোট মাইয়াডারে নিয়া চিন্তা করি। এই বয়সে বাবা হারাইলে কারে বাবা ডাকবো! মাইয়াডা একটু বড় অইলেতো গার্মেন্ট কইরাও খাইবার পাইতাম! আইন্নেরা যদি একটা বিহিত কইরা দিতাইন তাইলে আল্লা আইনেগরেও দেখতো! হাসমতের স্ত্রী সুফিয়া সেও একইভাবে দুঃখের কথা পেশ করেন।