আজ সোমবার , ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

জহিরের পুরো পরিবারই ইয়াবা বেচে

প্রকাশিতঃ ৩:৫৫ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৬, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৮০ বার

নিজস্ব প্রতিবেদক: আলম নামের এক মিয়ানমারের নাগরিক কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবার চালান নিয়ে আসা ও আর্থিক লেনদেনের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করেন। আর তিনি নিয়মিত আসা যাওয়ার কারণে টেকনাফ এলাকায় তাঁর নাম ‘বার্মাইয়া আলম’।

টেকনাফের অন্যতম তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী জহির আহমেদ ওরফে মৌলভী জহিরসহ ছয়জনকে আটকের পর তাঁদের কাছ বেরিয়ে আসে বার্মাইয়া আলমের নাম। তাদের রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে দুই লাখ সাত হাজার ইয়াবা ও সাড়ে ১৬ লাখ টাকাসহ আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান।

মুফতি মাহমুদ খান জানান, সকালে র‍্যাব ২-এর একটি আভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে অভিযান চালায়। সেখানের দুটি বাসায় রক্ষিত অবস্থায় দুই লাখ সাত হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। যার বাজার মূল্য সাত কোটি ২৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। এ সময় নগদ ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকাও উদ্ধার করা হয়।

এ সময় আটক করা হয় ফয়সাল আহমেদ (৩১), মিরাজ উদ্দিন নিশান (২১), তৌফিকুল ইসলাম ওরফে সানি (২১) ও সঞ্জয় হালদারকে (২০)। পরে জিজ্ঞাসাবাদের তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এফিফ্যান্ট রোডের আরেকটি বাসা থেকে এই চক্রের মূল ব্যক্তি জহির আহম্মেদ ওরফে মৌলভী জহির (৬০), মমিনুল আলম মোমিনকে (৩০) আটক করা হয়।

র‍্যাব কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান জানান, মৌলভী জহির প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে টেকনাফে সিএনএফ এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা করেন। আর সেই সুবাদে তিনি ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। জহিরের স্ত্রী, কন্যা, জামাতা থেকে শুরু করে পুরো পরিবার ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলেও জানান তিনি।

জিজ্ঞাবাদে জহির আহমেদ র‍্যাবকে জানিয়েছেন, এ ধরনের বড় বড় ইয়াবার চালান তিনি ও তার লোকজন বার্মাইয়া আলমের কাছ থেকেই সংগ্রহ করতেন। এরপর তাঁর জামাতা আবদুল আমিন, নুরুল আমিন ও আটক মোমিন টেকনাফ এবং কক্সবাজার হয়ে ঢাকায় নিয়ে আসতেন। এ ক্ষেত্রে তারা বিলাসবহুল বাস ও কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করতেন।

র‍্যাব পরিচালক জানান, বার্মাইয়া আলম মিয়ানমারের নাগরিক হলেও টেকনাফে তার বাড়ি রয়েছে। তিনি ওই এলাকায় বহু বছর আগে থেকেই আসা-যাওয়া করেন। বার্মাইয়া আলমের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। অচিরেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে বলেও জানান মুফতি মাহমুদ।

Shares