আজ শনিবার , ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রবীণে প্রবীণে লড়াই এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স

শিশু ধর্ষণ :: ওরাও কি মানুষ ?

প্রকাশিতঃ ৪:৩৫ অপরাহ্ণ | জুন ০১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫১২ বার

সীমান্তবার্তা ডেস্কঃ অসভ্য যুগে যে কুকীর্তির স্বাক্ষী হতে হয়নি ধরাবাসীকে তেমন কুকীর্তি এই সভ্য যুগে অহরহ ঘটছে। যে শিশুটি বুঝতেই শিখলো না মানুষের জৈবিক চাহিদা বলে কোন তাড়না আছে, তেমন শিশুদেরকে ধর্ষণের চিত্র দেশের আনাচে-কানাচে প্রকাশ পাচ্ছে নিয়ত। শুধু কি শিশুদের ধর্ষণ ? ধর্ষণ বলতে যা বোঝায় তা কোন দৃষ্টিকোনে এদের ওপর ঘটানো যায়। ওহে মানুষ ! তোমরা পশুর পাশবিকতাকেও হার মানালে তবে ? ধর্ষণের পর খুন করে দেহটি গুম করে রাখা হচ্ছে। কাউকে বিশ্বাস করার আর উপায় থাকছে না। মানবিকতার, মন্ষ্যুত্বের, বিবেকবোধের এমন অধঃপতনের স্বাক্ষী বোধহয় কোন সভ্যতাই হয়নি, যেমনটা হচ্ছে বিকৃত বর্তমান সমাজ-সভ্যতা। ধর্ষণ করা যায়নি বলে, দু’ক্লাসে পড়ুয়া ফুটফুটে শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করতে একবারও বুক কাঁপেনি মানুষাকৃতির পিশাচের। মানুষের এমন অধোঃগতি যে কেন ঘটলো, তার উত্তর কে দেবে ? মাত্র পাঁচ-ছয় বছরের শিশুটি যখন শিক্ষক, চাচা-মামা কিংবা অন্য কারো দ্বারা ধর্ষিতা হওয়ার সংবাদ শুনি তখন লজ্জায়-ঘৃণায় চিৎকার করতে কাঁদতে ইচ্ছে করে। এই কি মানুষ ? সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব এরাই ? কোন পশুর রক্ত এদের শরীরে প্রবাহিত হলে এরা এমন কুকীর্তি করতে পারে-তার উত্তর কি কারো জানা আছে ? শুধু মেয়ে শিশু নয় বরং জানোয়ারের দল ছেলেদের বলৎকার করতেও পিছপা হচ্ছে না। কোন সভ্যতার তরীতে চড়েছি আমরা ? গন্তব্য কোথায় আমাদের ? মানুষে আর পশুতে একাকার হওয়ার দিন কি তবে সমাগত ?
ধর্ষকের একমাত্র শাস্তির বিধান হোক মৃত্যুদন্ড। সমাজ পরিচালকরা ভাবুন, সমাজের শৃঙ্খলা রোধ করতে বোধহয় এর বিকল্প নাই। যারা দেবশিশুদের ধর্ষণ-হত্যা করতে দ্বিদ্বা করে না, তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে কেন ? এসব নপুংসকদের প্রকাশ্যে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলিয়ে দেয়া হোক। মানুষ শিক্ষা গ্রহন করুক। ভীতির সঞ্চার হোক। মাত্র দু’তিন ক্লাসে পড়ুয়া শিশুরাও যাদের লালায়িত দৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়না তাদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার নাই, থাকা উচিত নয়। ওদের শরীরে মানুষের নয় বরং জানোয়ার রক্ত বইছে। ওদের বাঁচতে দিলে, বংশবৃদ্ধির সুযোগ দিলে মানব সমাজে কেবল অমানুষ-পশুতুল্য জীবের বিস্তার ঘটবে। কাজেই লাঘাম টেনে দেয়ার এটাই উত্তম সময়।
শুধু শিশু নয় বরং যে কোন বয়সের নারীকেই পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে হবে। ধর্ষকের পরিচয় সে কেবলই ধর্ষক। সে কোন মানুষের সন্তান নয়, পিতা নয়, পুত্র নয়, নয় ভাইও। ধর্ষণ রোধে ধর্ষকদের ব্যাপারে রাষ্ট্র যদি কঠোরতা না দেখায় তবে সমাজে ক্ষতের গভীরতা বাড়তেই থাকবে। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে লড়তে হবে কঠোরভাবে। কোন ধর্ষক যেন প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রদর্শনপূর্বক ছাড় পেয়ে না যায়। আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তার স্বার্থে আজ যদি সবাই সোচ্চার না হই, তবে ধর্ষকের জন্ম হবে পরিবারে পরিবারে। ধর্ষিতা হতে থাকবে আমাদেরই আপনজন। সচেতনতা, সুশিক্ষা এবং শাসন দিয়েই গড়ে তুলি আমাদের আগামী প্রজন্ম।

Shares