নয়াবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, ডিসির কাছে অভিযোগ
প্রকাশিতঃ ৮:০৫ অপরাহ্ণ | জুলাই ০১, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৪ বার

মোঃ দৌলত হোসেন নালিতাবাড়ী:
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল উচ্চ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শওকত সাইদ ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য অনিয়ম ও দুনীতির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির ৫ জন ছাত্র অভিভাবক সদস্য গত ২৭ জুন জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ম্যানেজিং কমিটির ছাত্র অভিভাবক সদস্য ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ মে গোপনে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোফায়েল আহম্মেদের ছোট ভাই মনির হোসেনকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ দেয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক৷ এদিকে একইদিন নৈশপ্রহরী পদে আনিসুর রহমান আনিসকে নিয়োগের বিনিময়ে তাঁর বড় ভাই অধ্যাপক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নেওয়া হয়। এছাড়াও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শওকত সাঈদের ফুফাতো ভাই আব্দুল্লহ আল মামুনের নামে আনিসের পিতার ২০ শতাংশ আবাদি জমিও লিখে দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে নিয়োগের রেজুলেশনে সাইফুল ইসলাম নামে এক ছাত্র অভিভাবকের স্বাক্ষর জাল করারও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে গত ২৬ জুন শেরপুরের ভিক্টোরিয়া একাডেমীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে গোপনে নিয়োগ হবে বলে জানতে পারেন ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্যরা৷ পরে ওই নিয়োগ বাতিল ও বন্ধ চেয়ে ময়মনসিংহ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। তবে নির্ধারিত দিনেই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবি জানিয়ে ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য সাইফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, শাহীন আল মামুন, মোঃ আমানত ও রয়না বেগমসহ ৫ জন পরীক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হন। এসময় পুলিশের মাধ্যমে তাঁদের বের করে দেয় ডিজি প্রতিনিধি ও ভিক্টোরিয়া একাডেমীর প্রধান শিক্ষক জুনায়েদ সাইদ।
পরে গত ২৭ জুন এনিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন অভিভাবক সদস্যরা। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগের অনুলিপি দেওয়া হয়।
অভিভাবক সদস্য সাইফুল বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়েই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোপনে নিয়োগ বাণিজ্য করে আসছে। এর আগের দুইটা নিয়োগে আমার স্বাক্ষরও নকল করেছিল।
আরেক অভিভাবক সদস্য শাহীন আল মামুন বলেন, গোপনে নিয়োগ হবে জানতে পেরে আমরা তা বন্ধে শিক্ষাবোর্ডে লিখিত অভিযোগ করেছিলাম৷ তবুও নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের না জানিয়ে সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য কিরছেন। আমরা এর বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শওকত সাইদ বলেন, আমি এলাকার বাইরে আছি৷ নালিতাবাড়ী এসে এনিয়ে কথা বলবো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, একটি লিখিত অভিযোগপত্র পেয়েছি। এটি পর্যালোচনা করে দেখছি।