আজ শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

হালুয়াঘাটে হিজড়ার প্রেম। বিয়ের আসর থেকে কলেজ শিক্ষার্থীকে নিয়ে লাপাত্তা

প্রকাশিতঃ ৪:৫৮ অপরাহ্ণ | জুন ২৭, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫৮৫ বার

ওমর ফারুক সুমন, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ), বাংলাদেশঃ

হালুয়াঘাট উপজেলার ৫ নং গাজীরভিটা ইউনিয়নের বান্দরঘাটা গ্রামের বাবর আলীর সন্তান হিজড়া বানেছা আক্তার বিথী। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে হিজড়া বানেছার বাড়ি থেকে ঘুরে এসে জানা যায়, এক সময় তার পড়নে ছিলো মেয়েলি ড্রেস সেলোয়ার আর কামিজ। অন্যান্য সকল মেয়েদের মতই ছিলো তার চলাফেরা। মেয়েদের সাথে মিশতেন। তাদের সাথেই স্কুলে যেতেন। কথাও বলতেন মেয়েদের মতই। মেয়ে হয়েই হালুয়াঘাট শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ হইতে এইচ এস সি পাশ করেছেন। এরপর হঠাৎ পরিবর্তন। মেয়ে থেকে রুপান্তর হয়ে হন ছেলে। তারিখটা ছিলো ২০১৩ সালের ২৫ এপ্রিল। হরমোনজনিত পরিবর্তন হয়ে চেঞ্জ হয় বেশভূষার।  শরীরে আসে ছেলের রুপ। পত্রিকায় নতুন নাম জোনায়েদ সিদ্দিকী (শিশির) রেখে বিজ্ঞাপনও দেন। মেয়ের পোশাক বাদ দিয়ে পড়তে শুরু করেন শার্ট আর পেন্ট। তারপরেও এলাকার মানুষের অবিশ্বাস বানেছাকে (শিশিরকে) নিয়ে। মেয়ে থেকে ছেলে কেউ বিশ্বাস করতে চাচ্ছেননা। এরই মাঝে হিজড়া  বানেছা প্রতিবেশী ডাকিয়াপাড়া গ্রামের লাবনী(১৯) (ছদ্ধনাম) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে  ফুঁসলিয়ে গড়ে তুলে প্রেম। এলাকার কেউ জানতোনা সে খবর। লাবনির কোন জায়গা থেকে কেউ বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসলে হিজড়া বানেছা কৌশলে সে ঘর দেয় ভেঙ্গে। লাবনীও চুপি চুপি হিজড়ার প্রেমে পাগল। এরপর একপর্যায়ে অঘটন ঘটায় হিজড়া বানেছা ও লাবনী। ২০ জুন বুধবার লাবনীর বিয়ে ঠিকঠাক অন্য আরেক ছেলের সাথে। কাজীসাহেব এসেছেন বিয়ে পড়াতে। কাবিননামাসহ রেজেস্ট্রি প্রায় লিখা সম্পন্ন। কনের স্বাক্ষর শুধু বাকী। কাজী লাবনীর দাদাকে নিয়ে আসলেন কনের স্বাক্ষর নিতে। কিন্তু এর পূর্বেই বিয়ের আসর থেকেই হিজড়া বানেছার সাথে লাপাত্তা হয়ে যায় লাবনী। লাবনী পালিয়ে গিয়ে উঠে হিজড়া বানেছার বাড়ীতে। লাবনীর পিতা টের পেয়ে মেয়েকে ধরে নিয়ে আসেন। কিন্তু সেখান থেকে লাবনীকে ধরে নিয়ে আসলেও শেষ রক্ষা হয়নি। লাভনী পুনরায় মাঝরাতে চলে যান প্রেমিক বানেছার বাড়িতে।  সেখানে রাত্রিযাপন করার পর সকাল থেকেই লাপাত্তা। বানেছাও নেই।  নেই লাবনীও। এই ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে লাবনীর দাদা বলেন, আমরা যখন টের পেয়েছি যে, লাবনীকে নিয়ে বানেছা প্রেম খেলায় মেতে উঠেছে। তখন বানেছা (নতুন নাম শিশির) কে বলি, তুমার ছেলেত্বের ডাক্তারি সার্টিফিকেট দিতে হবে। যদি দিতে পারো তাহলে আমার নাতনীকে বিয়ে দিবো। কিন্তু কোন প্রমান সে দিতে পারেনি। লাবনীর পরিবার জানায়, তারা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে, প্রেমিক যুগল বর্তমানে পালিয়ে এক সাথেই আছেন। তবে কোথায় আছেন তা কেউ জানেননা বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিৎ করেছেন। (ছবি সংগৃহীত)

Shares