আজ শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

হালুয়াঘাটে মাদকাসক্ত পুত্রের কান্ড! মা-বোন- শিশুকে হত্যার চেষ্টা

প্রকাশিতঃ ২:৫২ অপরাহ্ণ | জুলাই ০২, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৫২ বার

ওমর ফারুক সুমন: নেশার টাকা না দেয়ায় মা ও বোন ও নিজের শিশু বাচ্চাকে হত্যা করতে যায় হালুয়াঘাট উপজেলার ২নং জুগলী ইউনিয়নের যাদুকুড়া গুচ্ছ গ্রামের ইসমাইল নামে এক যুবক। পরে প্রতিবেশীরা মা ও বোনকে হত্যার হাত থেকে রক্ষা করতে গেলে তাদেরকেও খুন করতে যায়। পরে আত্বরক্ষার্থে ইসমাইলের বোনজামাই মন্তাজ আলী পিটিয়ে ইসমাইলের একটি পা ভেঙ্গে দেয়। ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে দু’দিন। ২ জুলাই সোমবার সরেজমিনে ইসমাইলের বাড়ি থেকে ঘুরে এসে জানা যায় এ তথ্য। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, দু’দিন তালাবদ্ধ অবস্থায় রাখার পর খবর পেয়ে ইসমাইলকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করি। জানা যায় ইসমাইল বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেলে ১০ দিন যাবত চিকিতসাধীন আছে।ঘটনাটি ঘটে ঈদের পর শুক্রবার রাতে। বাবা ওয়াহাব আলী বাড়িতে ছিলেননা। ইসমাইলের স্ত্রী ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করেন। ঈদের সময় বাড়িতে আসলে তারকাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে সেই টাকা জুয়া খেলে দেয়। তার পিতা ওয়াহাব আলী বলেন, ইসমাইল সর্বক্ষন নেশা ও জুয়া খেলে। তাকে কয়েকবার জেলও খাটিয়ে এনেছেন। তাতে কোন লাভ হয়নি। ঘটনার দিন তিনি বাড়িতে ছিলেননা। তার মার কাছে পুনরায় টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় রাত ১২টার দিকে গলায় গামছা দিয়ে পেচিয়ে মেরে ফেলতে উদ্যত হয়।পরে তার মার গংরানীতে টের পেয়ে পাশের ঘরের সমলা লোকজনকে ডেকে আনে এবং তার মাকে মাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ইসমাইল তার ৪ বছরের পুত্র আব্দুল্লা তাকেও গলা চেপে ধরে মেরে ফেলার জন্যে।আব্দুল্লাও গলায় ইনজুরি হয়। একপর্যায়ে ইসমাইল তার বোন হেলেনাকেও মেরে ফেলতে যায়।এ বস্থায় স্থানীয়রা রাতে মা ও বোনকে উদ্ধার করলেও সকাল বেলা পুনরায় তার বোনকে মারতে যায়। পরে অতিষ্ট হয়ে হেলেনার স্বামী মন্তাজ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ইসমাইলের একটি পা ভেঙ্গে গুড়ো করে দেয়। ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। যাদুকুড়া গুচ্ছ গ্রামের তোতা মিয়া(৫৫) বলেন, ইসমাইল জুয়া আর নেশা করে।তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকবার জেল খেটে এসেছে। অনেকবার তার মা ও বাবাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো। তিনি বলেন, আমি না বাঁচালে তার বাবাকে অনেক আগেই মেরে ফেলতো। একই অভিযোগ গুচ্ছগ্রামের আঃ জব্বার (৫৫), আঃ ছালাম (৫০), শাহাব উদ্দিন (৫২) করে বলেন, এই ইসমাইলের অত্যাচারে তার পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে। তাকে এইবার সুস্থ্য করে আনলে পুনরায় অঘটন ঘটিয়ে ফেলবে। চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, আমি খবর পেয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় ইসমাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ছেলেটা নেশাগ্রস্থ ও জুয়া খেলে। এরজন্যে পুরো পরিবারটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

Shares