নালিতাবাড়ীতে ফসলি জমি দখলের চেষ্টা
প্রকাশিতঃ ৩:২০ অপরাহ্ণ | আগস্ট ২৩, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৬৫ বার
মোঃ দৌলত হোসেন নালিতাবাড়ী শেরপুর।
পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত অন্যের ফসলি জমিতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে রোপনকৃত আমনের ক্ষেতের মাঝখানে আইল বেঁধে এবং চালাঘর তুলে প্রায় ২৫ শতক জমি দখলের চেষ্টা করেছে ছলিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ও তার সন্তানেরা। গত ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কয়ারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়ারপাড় গ্রামের লাল মামুদ জীবিত অবস্থায় একই এলাকার মগর আলীর কাছ থেকে কিছু এবং পরবর্তীতে তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মিলে মোট এক একর ২৫ শতক ফসলি জমি সাফকবলা ক্রয় করেন। যা পরবর্তী সময়ে বিআরএস রেকর্ডেও যুক্ত হয়। প্রায় ৫০ বছর ধরে দফায় দফায় পৃথক দাগে কেনা ওইসব জমি লাল মামুদ এবং তার মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারীগণ ভোগদখল করে আসছেন।
সম্প্রতি মৃত মগর আলীর ছেলে ছলিম উদ্দিন গং বিভিন্ন সময় বিক্রিত মোট এক একর ২৫ শতক জমির মধ্যে ১৯ শতাংশ জমি লিখে দেওয়া হয়নি দাবী করে আদালতে মোকদ্দমা করেন। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন থাকলেও গত ১৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালে আকস্মিক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দলবল নিয়ে লাল মামুদের ছেলে আব্দুস সালামের অংশে থাকা জমিতে প্রবেশ করেন। এরপর রোপিত আমন ক্ষেত্রের মাঝখানে প্রায় ২৫ শতক জমি নিয়ে মাটির আইল বেঁঁধে এবং ক্ষেতের কোণে চালাঘর তুলে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এলাকাবাসী জানান, মগর আলী ও তার ছেলেরা বিভিন্ন সময় লাল মামুদের কাছে এক একর ২৫ শতক জমি বিক্রি করে গেছেন। ওইসব জমি প্রায় ৫০ বছর ধরে লাল মামুদ ও তার মৃত্যুর পর সন্তানেরা মৌখিকভাবে ভাগ-বাটোয়ারা করে ভোগদখল করে আসছেন। বর্তমানে মগর আলীর ছেলে ছলিম উদ্দিন ও নাতিরা যে দাবী করছেন তার সত্যতা নেই। তারা গায়ের জোরে জমি দখলের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুস সালাম প্রতিকার চেয়ে নালিতাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। থানার এসআই সাফায়েত জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, জমিটি আব্দুস সালাদের ভোগদখলীয়। তবে দুই পক্ষকে জমির কাগজপত্র নিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। তারা এলে যাচাই-বাছাই শেষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।