আজ শনিবার , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

সন্তানের সাথে অভিমানে মায়ের আত্মহত্যা

প্রকাশিতঃ ১০:১৪ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৭১ বার

মোঃ দৌলত হোসেন নালিতাবাড়ীঃ শেরপুরে ১২ বছর বয়সের ৫ম শ্রেণি পরুয়া শিক্ষার্থী নাফিস এর সামনে রাগ করে মা নাসরিন আক্তার (৩২) গলায় ওড়না প্যাচিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রয়াত পরিবহন শ্রমিক বাবুর স্ত্রী শহরের গৃদানারায়নপুরস্থ জনৈক কাজলের বাসায় দুই বছর যাবত দুই ছেলে নাফিজ (১২) ও নাবিল (৮) কে নিয়ে ভাড়া থাকতেন তার স্ত্রী নাসরিন আক্তার। নাসরিনের বড় ছেলে নাফিজ জানায়, প্রতিদিন আমি বাইরে খেলতে গেলে মা বকাবকি করতো। আজও তাই হয়েছে। এক পর্যায়ে মা আমার সাথে রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে বলতে থাকে আমি ফাঁসি দিয়ে মরে যাবো। তখন আমি দরজা ধাক্কিয়ে মার কাছে মাফ চাই, আর বলি কোন দিন বাইরে যাবো না। দরজা না খোলায় এক পর্যায়ে জানালার পাশে যাই। এসময় দেখি মা তার গলায় ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলার চেষ্টা করছে। এসময় আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে স্টিলের দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এদিকে নাসরিনের নিশ্বাস বন্ধ হয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলে মারা যায়। পরে শেরপুর সদর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে আম্মার লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

নাসরিনের শ্বশুর বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুর এবং তার বাবার বাড়ি শেরপুরের শ্রীবর্দী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামে। ২০২০ সালে তার স্বামী বাবু ঢাকা-শেরপুর রোডে চলাচলরত শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের বাসে চাকুরি করা অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সেসময় তারা অন্য মহল্লায় থাকতেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর তারা এখানে এসে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলো। নাসরিনের বড় ছেলে নাফিস স্থানীয় নবারুন পাবলিক স্কুলে ৫ ম শ্রণিতে এবং নাবিল ইকরা মাদরাসায় নার্সারিতে পড়েন।

এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বসির আহমেদ বাদল জানায়, এঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে এবং মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Shares