নালিতাবাড়ীতে বিধবার কলাবাগান নষ্ট
প্রকাশিতঃ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ | আগস্ট ২১, ২০২২ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১৭৭ বার
মোঃ দৌলত হোসেন নালিতাবাড়ীঃ প্রতিবেশির ছাগলে বারবার কলাবাগান নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধা বিধবার ফল আসা শতাধিক সবরি কলার গাছ কেটে ফেলেছে প্রতিপক্ষ।
গত ৮ আগস্ট সোমবার দিবাগত রাতে বৃষ্টির সময় শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রূপনারায়নকুড়া ইউনিয়নের পাইখাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে গেলে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ফিরোজা বেগম (৬০) একমাত্র শিশু কন্যাকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালাতেন। কন্যা বড় হলে গার্মেন্ট এবং শেষে সৌদিতে প্রবাসে গিয়ে বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সম্প্রতি স্বচ্ছলতার মুখ দেখেন। বর্তমানে বৃদ্ধা ফিরোজা তার কন্যা একমাত্র ছেলে ও বৃদ্ধা মাকে সাথে নিয়ে বসবাস করেন। কন্যা ঢাকায় গার্মেন্টে কাজ করেন। ফলে বাড়িতে শিশু ছেলে আর দুই বৃদ্ধা ছাড়া কেউ থাকেন না। অনেক শখ করে সংসারের আয়ের জন্য বৃদ্ধা ফিরোজা প্রায় ২০ শতক জমিতে শতাধিক সবরি কলার গাছ রোপন করেন। বর্তমানে ওইসব গাছে ফলন এসে কলার কাঁধি প্রায় প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে এসেছিল। কিন্তু ওই বাগানে প্রতিবেশি রফিকুল ইসলামের ছাগল প্রতিদিন ঢুকে বাগান নষ্ট করছিল। গত ৬ আগস্ট বৃদ্ধা এর প্রতিবাদ করলে এ নিয়ে রফিকুল ও তার ছেলে শাহজাহান বিতর্কে জড়ায়। একপর্যায়ে বৃদ্ধাকে নানা হুমকী দিয়ে ক্ষয়ক্ষতির ইঙ্গিত দেয়। এর একদিন পর ৭ আগস্ট রাতে ফিরোজার ঘরের বারান্দার গ্রিল দিয়ে কে বা কারা একাধিকবার বিড়াল ছানা ছুড়ে মারে। কয়েকটি ঢিলও মারা হয় বলে অভিযোগ করেন ফিরোজা। পরদিন ৮ আগস্ট রাতে বৃষ্টির সময় তার প্রায় ২০ শতক জমিতে রোপিত ১০৫টি সবরি ও কাঁঠালি কলার গাছ উঠতি কলার কাঁধিসহ কেটে পুরো বাগান নষ্ট করে ফেলে। পরদিন সকালে স্বপ্নের কলা বাগানের ধ্বংস দেখে মাথায় হাত পড়ে বিধবা ফিরোজার।
ফিরোজা আক্ষেপের সুরে অভিযোগ করে বলেন, মানুষের বাড়িতে কাজ করে অনেক কষ্ট করে একমাত্র কন্যাকে মানুষ করেছি। আমার জীবনের সব রোজগার আর মেয়ের ঘাম ঝড়ানো রোজগার দিয়ে কেবলই স্বচ্ছল হয়েছি। কিন্তু প্রতিবেশি শাহজাহানসহহ অজ্ঞাতনামারা মিলে তার কলাবাগান ধ্বংস কতরে দিয়েছে। এসময় তিনি বলেন, আমার পুকুরে মাছের পোনা ছেড়েছি। আশঙ্কা করছি, প্রতিহিংসায় পুকুরেও বিষ ঢেলে মাছগুলো মেরে ফেলে কি না।
এ বিষয়ে রফিকুল ও তার ছেলে শাহজাহানের সাথে কথা বলতে তার বাড়ি গেলে পাওয়া যায়নি। তবে স্ত্রী তার তর্ক-বিতর্ক এবং ছেলের হুমকীর বিষয় স্বীকার করে জানান, কথা কাটাকাটি ও হুমকী দিলেও কলা বাগান আমার ছেলে নষ্ট করেনি। তিনি বলেন, অন্য কেউ এ সুযোগ নিয়ে আমাদের মাঝে ঝগড়া বাঁধাতে এ কাজ করেছে।