১০ কিলোমিটার উপর দিয়ে উড়ছে আগুন! নিহত-৬৫
প্রকাশিতঃ ৯:২৭ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ০৪, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৭২৪ বার
অনলাইন ডেস্কঃ ১০ কিলোমিটার উপর দিয়ে- গুয়াতেমালায় ফিউগো আগ্নেয়গিরি থেকে ১০ হাজার মিটার উপর দিয়ে লাভা নির্গত হচ্ছে। দেশটির ১০০ বছরের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ঘটনা বলে জানিয়েছেন আগ্নেয়তাত্ত্বিকরা।
গত রোববার দেশটির পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ফিউগো আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা নির্গত হতে থাকে। ক্রমান্বয়ে লাভা নির্গতের হার আরো বাড়ছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা।
লাভায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি গ্রাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ঘর-বাড়িতে আটকা পড়ে ও লাভার কবলে পড়ে অন্তত ৬৫ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো পাথর এসে নিচে পড়ছে। অনেকেই এটাকে পাথরবৃষ্টি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। উদ্ধারকারী দলের একজন জানিয়েছে, পাথরবৃষ্টির কারণে উদ্ধার কার্যক্রম প্রলম্বিত হচ্ছে।
মৃতের সংখ্যা ৬৫ ছাড়িয়েছে গুয়াতেমালায় ফিউগো আগ্নেয়গিরির অগ্নুপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনেকেই নিখোঁজ থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে উদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে মাঠে নামানো হয়েছে।
দেশটিতে ফিউগো আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতকে গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। গত রোববার দেশটির ফিউগো নামক পাহাড়ী এলাকায় আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
অগ্নুৎপাতের ফলে শত শত বাড়ি পুড়ে ভস্ম হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার মানুষ খোলা আকাশের নিচে অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। আগ্নেয়তাত্ত্বিকরা বলছেন, বহির্মুখী লাভার মধ্য দিয়ে ১০ কিলোমিটার (৩৩ হাজার ফুট) উপর দিয়ে ছাঁই ও ভস্ম গিয়ে উড়ে পড়ছে।
এতে আকাশ থেকে গরম গ্যাস বায়ুর সঙ্গে মিশে তাপমাত্রা মারাত্মক প্রতিকূলে নিয়ে গেছে। অন্যদিকে লাভা থেকে বেরিয়ে আসা ছাই-ভস্ম যেখানে গিয়ে পড়ছে, সেটা পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
ইউফেমিয়া গার্সিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি অনেক কষ্ট করে আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত থেকে গরম ভস্ম থেকে বেঁচেছেন। তিনি জানান, ‘দুই সন্তানকে তিনি জীবিত পেয়েছেন।
তবে এখন পর্যন্ত তার দুই মেয়ে, এক ছেলে ও এক নাতিকে খুঁজে পাচ্ছেন না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বিবিসিকে বলেন, আমি এই জায়গা ছাড়তে চাই না। কিন্তু আমাকে ছাড়তে হবে। আমি আমার সন্তানদের জন্য কিছুই করতে পারছি না।’
এদিকে উদ্ধারকারী দলের কর্মী জর্জ লুইস আলটুবে জানান, গুয়াতেমালায় পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
অন্যদিকে আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাতের হার ক্রমেই বেড়ে চলছে। তিনি আরও জানান, আগ্নেয়গিরি থেকে নির্গত পাথর বৃষ্টির মতো তাদের মাথায় ও শরীরে এসে পড়ছে।
এদিকে আগ্নেয়গিরি থেকে উত্তপ্ত গ্যাস-ছাই বেরিয়ে আসায় বাতাসে দূষিত বায়ু ছড়িয়ে পড়েছে। আর এ অবস্থাকে পাইরোক্ল্যাসটিক ব্লো বলা হয়। এটি মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই ধরণের পাইরোক্ল্যাসটিক ব্লো থেকে বাঁচতে সবাইকে অন্যত্র সরে যাওয়ার আহ্বান করা হচ্ছে।
আগ্নেয়গিরির গলিত লাভা রাস্তায়
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপের মাউন্ট কিলাউ-ইয়া আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা উদগীরণ অব্যাহত রয়েছে। গলিত লাভা ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের এলাকা ও রাস্তায়। উঁচু আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ গলে অনবরত রাস্তার দিকে নেমে আসছে লাভা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে, জোরদার করেছে আশপাশের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম।
আগ্নেয়গিরির লাভা নিঃসরণের মাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। দুর্যোগ চলাকালে ও দুর্যোগ পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে স্থানীয় সরকার।
দুই দফা শক্তিশালী ভূমিকম্প আর আগ্নেয়গিরির তাণ্ডবে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন সেখানকার মানুষ। জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। ফলে দ্রুতই জনশূণ্য হয়ে পড়ছে অঞ্চলটি। বৃহস্পতিবার ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে হাওয়াই দ্বীপের মাটি।
প্রথমে ৬ দশমিক ৪ মাত্রা আর পরে ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূকম্পনের পর শুরু হয় মাউন্ট কিলাউইয়া আগ্নেয়গিরির লাভা নিঃসরণ। এতে ধ্বংস হয়ে যায় বহু ঘর বাড়ি।
বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে বিষাক্ত সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস। এ অবস্থায় ওই অঞ্চল থেকে দ্রুত ১৭শ’ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নেয় হাওয়াই কর্তৃপক্ষ।
নখে সাদা দাগ হয় কেন, এতে কি সত্যিই ভয়ের কিছু রয়েছে?
‘নখ’ আমাদের শরীর ও হাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে নখে বেশ কিছু সাদা দাগ রয়েছে, এমনটা আমরা মাঝে মধ্যেই লক্ষ্য করি। শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাবে নখে সাদা দাগ হয়, অনেকেই এমনটা মনে করেন। আর এতে ভয় পেয়ে যাই আমরা অনেকেই। এতে কি আসলেই ভয়ের কিছু রয়েছে?
‘punctate leukonychia’ চিকিৎসা বিজ্ঞানে নখের সাদা দাগের নাম। নখে ধাক্কা বা চোট লাগলে অধিকাংশ সময়ে এই দাগের আবির্ভাব হয়। তবে খুব গুরুতর নাও হতে পারে এই আঘাত।
এই সাদা দাগ উদ্ভবের কারণ হতে পারে, ক্রমাগত টেবিলে নখ দিয়ে আওয়াজ করা বা দাঁত দিয়ে নখ কাটা। মূলত নখের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ হলো এই সাদা দাগগুলো।
তবে এটি গুরুতরও হতে পারে, যদি আপনার নখটি পুরো সাদা হয়ে যায়। কেননা শরীরের অন্য কোন বড় সমস্যার জানান দিতে পারে পুরোপুরি সাদা হয়ে যাওয়া নখ। জানান দিতে পারে- লিভার সমস্যা, কিডনী সমস্যা অথবা হার্টের সমস্যার।
এছাড়াও রক্তে প্রোটিনের স্বল্পতাকেই ইঙ্গিত করে, যখন এই সাদা দাগগুলো সারি দিয়ে থাকে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, যদি আপনার পুরো নখ জুড়ে সাদা দাগ থাকে।