আজ শনিবার , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

মিরপুরে মেলেনি ‘গুপ্তধন’, অনুসন্ধান কার্যক্রম সমাপ্ত

প্রকাশিতঃ ৬:৫২ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৬, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৬৫২ বার

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরের সেই বাড়িতে গুপ্তধনের সন্ধান না পেয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২১ জুলাই (শনিবার) থেকে বাড়িটির মেঝেতে খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করে ঢাকা জেলা প্রশাসন।

প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজওয়ার আকরাম বলেন, আমরা ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর ও বুয়েটের এক্সপার্ট এনে ওই বাড়ির ভেতরে জিপিআর স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আমরা এই পরীক্ষাটি করি। কিন্তু সেখানে কোনও ধাতব বা গুপ্তধনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তাই অভিযানটি সমাপ্ত ঘোষণা করা হলো।’ পাশাপাশি ওই বাড়ি থেকে পুলিশের পাহারাও তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আরিফুর রহমান সরদার বলেন, মিরপুরের ওই বাড়িতে কোনও গুপ্তধন পাওয়া যায়নি। রেজাল্ট জিরো। তাই প্রশাসনের নির্দেশে সেখান থেকে পুলিশি পাহারা তুলে নেওয়া হয়েছে।

মিরপুর-১০-এর সি ব্লকের ওই বাড়িতে সরেজমিন দেখা গেছে, বাড়ির সামনে স্তূপ করে রাখা মাটি শ্রমিকরা ভেতরে নিয়ে ফেলছেন। বাড়ির ভেতরের দুটি কক্ষ ভরাট করার কাজ চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই (শনিবার) রাজধানীর মিরপুর-১০-এর সি-ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর বাড়িতে গুপ্তধনের খোঁজে মাটি খোঁড়াখুঁড়ি করে ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ। বাড়িটির মাটির নিচে কমপক্ষে দুই মণ স্বর্ণালঙ্কার থাকার দাবি ওঠায় ওই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে শুরু হয় এই অভিযান। ২০ জন শ্রমিকের সহায়তায় ছয় ঘণ্টা ধরে সাড়ে ৪ ফুট খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর দুর্বল হওয়ায় ওইদিন খোঁড়াখুঁড়ি স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর পুনরায় ২২ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের অভিমত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

এর আগে, গত ১০ জুলাই মোহাম্মদ আবু তৈয়ব নামের এক ব্যক্তি মিরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর ১২ জুলাই রাতে কয়েকজন লোক বাড়ির ভেতরে গুপ্তধন আছে বলে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন। এই মর্মে ১৪ জুলাই বাড়ির মালিক মনিরুল ইসলাম থানায় একটি জিডি করেন। পরে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই বাড়িটিতে খননের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

মেঝে ভরাটের কাজ করছেন শ্রমিকরা

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে সেলিম রেজা নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে এই বাড়িটি গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কেনেন মনিরুল ইসলাম। মিরপুরের পল্লবীতে থাকেন তিনি। আর এই বাড়ি দেখাশোনা করেন শফিকুল ইসলাম ও সুমন নামে দুজন। শফিকুল ইসলাম ছিলেন বাড়ির কেয়ারটেকার। বাড়ির ভেতরে রয়েছে সাতটি কক্ষ। একটিতে শফিকুল ও সুমন থাকতেন। বাকিগুলোতে ভাড়াটিয়া ছিলেন। তবে গত ৪/৫ মাস আগে ভবন ভেঙে নতুন ভবন তৈরির কাজ শুরুর কথা বলেন সব ভাড়াটিয়াকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন বাড়ির মালিক।

Shares