সূক্তিকে আড়ালে ঠেলে -রিতা সরকার(আগরতলা, ইন্ডিয়া)
প্রকাশিতঃ ১১:১৯ অপরাহ্ণ | জুলাই ০১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪২৯ বার
প্রতীক্ষা
কতো দীর্ঘ্য ?
আর কতো বিশ্বাস
দিনান্তে ঝিনুকের উর্দ্ধশ্বাস ।
অধ্যাশের নেশার ডুবে চোরাবালিতে
অর্ধ নিমজ্জিত ছিল -ধ্যানমগ্নমায়াসৃষ্টিতে।
অসীম প্রতীক্ষা ওই অন্তিম লগ্ন মাহেন্দ্রক্ষন – উর্দ্ধ পানে আকাশগঙ্গার বৃষ্টিতে ধুয়ে মন
‘ আঁধার নক্ষত্র লোকে হতে নিবীড়সমর্পণ।
তৃপ্তিহীন পথের ক্লান্তি অবসাদ ঘিরে
ঝিনুক নীরবে সমৃদ্ধ করে রত্নাকরে।
ক্রমশ তলিয়ে যায় বালির অতলে
কঠোর নিয়মে বাঁধা সময় কালচক্রের কলে
রংধনুতে আঁকা মৌসুমী প্রীতির শুভ
অক্ষর।
নীল সামিয়ানায় হংস বলাকার অভয়
স্বাক্ষর ।
স্বাতী নক্ষত্রের বিন্দু বিন্দু প্রেমাশ্রু পড়ে
ঝরে ।
সূক্তি রচনা করে মুক্তো কল্পলোকে
কালান্তরে ।
তপ্ত তরুণ সূর্য্যের উদ্দীপনায় আলোর
ঘনঘটা ।
চেতনা খুঁজে পায় পার্থিব সোনালী
মায়াছটা ।
অশ্রুবিন্দু আগলি ঝিনুক লুকায় সাগর
অতলে
প্রতিকূলতার আর কঠিন সংগ্রাম প্রতি
পলে পলে।
সৃষ্টির আনন্দে তিলে তিলে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
নিজেকে ।
স্পর্শ করে পড়ন্ত বেলার সত্যতার গূঢ়
রহস্য কে।
গোধূলির শেষে উদাত্ত আহ্বান রাতের
তারাদের !
হাতছানি জীবনের ক্রান্তিলগ্ন অপার্থিব
ধ্রুবত্বের।
সূক্তি
মায়ার সাগরে
ভালোবাসার ঢেউয়ে স্নাত
বালির কনায় চিকমিক হাসি আনন্দের।
চায়না প্রতিদান , নিবেদিত সব বর্ণে ছন্দে।
দীন জীবন ফুরায় যদি পূর্ণতার পথের পরে
অনাদর অবহেলা চলে সেই পথ রেখা ধরে।
মুক্তোরে গলে তুলে সূক্তিরে আড়ালে ঠেলে।
সম্বিত আসে পঁচা ঝিনুকে দর্পে পা ফেলে ।