আজ শনিবার , ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র লিফলেট বিতরণ

বজ্রপাতে ২০ দিনে প্রাণ গেল ৫৭ জনের

প্রকাশিতঃ ৯:০৯ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৭, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৩৮ বার

বজ্রপাতে ২০ দিনে প্রাণ গেল ৫৭ জনের

অনলাইন ডেস্কঃ দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু হচ্ছে প্রতিদিন। প্রতিদিন শত শত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যেই বজ্রপাতেও ঝরছে প্রাণ। চলতি এপ্রিল মাসের ২০ দিনে বজ্রপাতে ৫৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। গত বছরের পুরো এপ্রিল মাসে প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ২১।
দুর্যোগ নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ডিজাস্টার ফোরামের এক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। আজ সোমবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।ডিজাস্টার ফোরামের প্রতিবেদনে ৪ থেকে ২৪ এপ্রিলের তথ্য তুলে ধরা হয়। সংবাদপত্রের প্রতিবেদন এবং দেশের ছয়টি এলাকা থেকে সরাসরি তথ্য নিয়ে ডিজাস্টার ফোরাম বজ্রপাতের এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে জানান সংগঠনটির সদস্যসচিব গওহার নঈম ওয়ারা।
ফোরামের প্রতিবেদনে বলা হয়, এপ্রিলের ২০ দিনে যে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৪৭ জন পুরুষ। এঁরা বজ্রপাতের সময় কৃষিজমিতে কাজ করছিলেন বা মাছ ধরছিলেন।
ডিজাস্টার ফোরামের সমন্বয়কারী মেহেরুন নেসা প্রথম আলোকে বলেন, জেলা ভিত্তিতে ২০ দিনে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন উত্তরের জেলা গাইবান্ধায়। এখানে ছয়জন নিহত হন। আর বিভাগের হিসাবে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান সিলেটে। এ বিভাগে মৃত মানুষের সংখ্যা আট। বজ্রপাতে আহত হন আটজন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৯ এই এক দশকে দেশে বজ্রপাতে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৮১। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটে ২০১৮ সালে। ওই বছর বজ্রপাতে মারা গেছে ৩৫৯ জন। এর আগের বছর মারা যায় ৩০১ জন, যা গত এক দশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে বজ্রপাতে মৃতের সংখ্যা ছিল ২০৫। এ ছাড়া ২০১৫ সালে ১৬০, ২০১৪ সালে ১৭০, ২০১৩ সালে ১৮৫, ২০১২ সালে ২০১, ২০১১ সালে ১৭৯ ও ২০১০ সালে ১২৩ জনের মৃত্যু ঘটে বজ্রপাতে।
বিভিন্ন হিসাবে দেখা গেছে, দেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে হাওরের তিন জেলা কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। আর এসব ঘটনা বেশি ঘটে এপ্রিল ও মে মাসে। এ সময় কৃষকেরা ফসল তোলার কাজে মাঠে থাকেন। এ সময়টা কালবৈশাখীর।
১৮ এপ্রিল সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে নিহত হন চার কৃষক।
গত এক দশকে ঝড়, বন্যা বা অন্য কোনো দুর্যোগের তুলনায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে সরকার বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা দেয়। বজ্রপাতের ঘটনা প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে তালগাছের চারা লাগানো হয়েছে। কিন্তু এ ব্যবস্থা সময়সাপেক্ষ। গওহার নঈম বলছিলেন, কৃষককে তো ধান কাটতেই হবে, মাঠে যেতেই হবে। কিন্তু বজ্রপাতের প্রকোপ কমাতে অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে এসব অঞ্চলে মুঠোফোনের টাওয়ারে লাইটেনিং এরস্টোর লাগিয়ে বজ্রপাতের ঝুঁকি কমানো যায়। মুঠোফোন কোম্পানিগুলো তাদের করপোরেট দায়িত্বের অংশ হিসেবে কাজটি করতে পারে। পল্লী বিদ্যুৎ ও সীমান্তরক্ষীদের সব স্থাপনায় কমবেশি এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
মুঠোফোনের টাওয়ারে লাইটেনিং এরস্টোর লাগানোর বিষয়টি সরকারও বিবেচনা করেছিল বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, কিন্তু এতে কিছু বড় ধরনের অসুবিধা থাকায় সে পরিকল্পনা থেকে সরে আসেন তাঁরা। কারণ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এরস্টোর লাগানো একটি টাওয়ার মাত্র ৯০ মিটার এলাকা কভার করে। আর একটি যন্ত্রের দাম সাত লাখ টাকা। এটা ব্যয়সাপেক্ষ। এখন কৃষকদের সচেতন করা এবং এলাকায় বড় গাছ সংরক্ষণ করাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তালগাছগুলোও একটি সহায়তা দেবে।

Shares