শতাধিক বিরোধ নিস্পত্তি করলেন হালুয়াঘাটের এএসপি আলমগীর
প্রকাশিতঃ ১১:২১ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ১১, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৭৯৩ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ ৫ বৎসর ধরে চলমান বিরোধসহ শতাধিক পারিবারিক ও মামলা সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি করলেন হালুয়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আলমগীর পিপিএম। শুধু তাই নয়, এ ধরনের শতাধিক বিরোধ নিস্পত্তি করে দিয়ে মানুষের মাঝে তার যতেষ্ঠ গ্রহণযোগ্যতাও অর্জন করে নিয়েছেন। সম্প্রতি ধোবাউড়া উপজেলায় দুইটি পরিবারের মাঝে বসতবাড়ীর সীমানা নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা ছিল গত ৫ বছর যাবৎ। অবশেষে এএসপি আলমগীরের হস্তক্ষেপে তা আজ ১১ অক্টোবর বৃহঃপতিবার নিস্পত্তি হয়েছে। আর তা নিস্পত্তি হওয়ায় উভয় পরিবারই অত্যন্ত খুশি।
যাদের সাথে বিরোধ ছিল তারা হলেন, ধোবাউড়া উপজেলার বতিহালা গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর পুত্র কাসেম আলী ও একই গ্রামের প্রতিবেশী মৃত কিতাব আলীর পুত্র জাফর আলী। এই দুই পরিবারের সাথে সাথে বসতবাড়ীর ২.৫০ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত একাদিক মামলা মোকাদ্দমা চলমান ছিল।
এই ঘটনা জানতে পেরে সহকারী পুলিশ সুপার সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন এবং বাদী বিবাদী উভয় পক্ষসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্তিতিতে জমির সীমানা নির্ধারণ করে বৃহঃপতিবার দুপুরে উভয় পক্ষকে মিলিয়ে দিয়ে সৃষ্ট বিরোধের নিস্পতি করে দেন।
দুই পরিবারের মাঝে এক পক্ষ কাসেম আলী জানান, তিনি তিনটি মামলা মোকাদ্দমায় জড়িয়ে অর্থনৈতিক ভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তিনি দীর্ঘ দিনের সৃষ্ট এ সমস্যা সমাধান করায় সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর পিপিএমকে ধন্যবাদ জানান। জানা যায়, পুলিশের এই অফিসার ইতিমধ্যে হালুয়াঘাট- ধোবাউড়া এবং তারাকান্দা ও ফুলপুরের প্রায় শতাধিক মামলা মোকাদ্দমা নিস্পত্তি করে দিয়েছেন। অনেক পরিবারই তার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। পুলিশের এই অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত ২০ বছর ধরে চলমান বিরোধও তিনি নিস্পত্তি করে দিয়েছেন। এছাড়া প্রতিনিয়ত এ ধরনের ধারা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, সাধারন মানুষের উপকারের জন্যেই আমরা চাকরি নিয়েছি। আমাদের মাধ্যমে কোন মানুষ হয়রানী হবে এটা কাম্য নয়। তিনি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের উপকার করতে পারলেই নিজেকে ধন্য মনে করেন বলে জানান এই অফিসার।