আজ সোমবার , ২৭শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

হালুয়াঘাটে অটো রিক্সার চাপায় ৮ বছরের শিশুর মৃত্যু হালুয়াঘাটে ট্রলির চাপায় ৮ বছরের শিশুর মৃত্যু নালিতাবাড়ীতে ভারতীয় মদসহ যুবক গ্রেফতার বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বিদ্যালয়ের কক্ষ থেকে নৈশ প্রহরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হালুয়াঘাটে বিএনপি নেতা প্রিন্স’র মুক্তির দাবীতে মিছিল বাউফলে অবরোধ কর্মসুচী পালন বাউফলে অবরোধ কর্মসুচী পালন ১৮০ বোতল ভারতীয় মদ আটক করল হালুয়াঘাট থানা পুলিশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা নাহিদকে হালুয়াঘাটে সংবর্ধনা কু-প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সংখ্যালঘু নারীকে নির্যাতন,সংবাদ সম্মেলনে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ইউপি সদস্যের সংবাদ সম্মেলন মুক্তাগাছায় সেকান্দর হত্যায় আটক দুই ইত্তেফাকুল উলামার নেতৃবৃন্দের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচারের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি আওয়ামিলীগ নেতা গোপাল সরকারকে প্রেসক্লাবের সংবর্ধনা

কারিতাসের আয়োজনে হালুয়াঘাটে ওয়ানগালা উৎসব

প্রকাশিতঃ ৮:১৮ অপরাহ্ণ | অক্টোবর ১৩, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১৬ বার

ওমর ফারুক সুমন: নতুন ফসল ঘরে তুলতে নানা উৎসবের মাধ্যমে দেবতা মিসি সালজংকে উৎসর্গ করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্তে নলকুড়া গ্রামের শান্তি মোড়লের বাড়িতে পালিত হলো গারো সম্প্রদায়ের ওয়ানগালা ও পীঠা উৎসব।কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের কমিউনিটি ম্যানেজড সাসটেনবল লাইভালহুডস এন্ড রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রাম-২ উদ্যোগে পালন করা হয় উৎসবটি। জানা যায়, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ‘গারো’সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ওয়ানগালা । এ উৎসবে গারো সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা বিচিত্র পোশাক ও পাখির পালক মাথায় দিয়ে লম্বা ডিম্বাকৃতি ঢোলের তালে তালে নেচে গেয়ে মুখরিত করে তুলে।গারোরা মনে করেন, শস্যদেবতা মিসি সালজংকে উৎসর্গ করে ওয়ানগালা উৎসব পালন করলে নতুন বছরে ভালো ফলন দিবে।সুত্রমতে, আগের দিনে গারো পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষ হতো এবং বছরে মাত্র একটি ফসল হতো। তখন ওই জুম বা ধান ঘরে ওঠানোর সময় গারোদের শস্যদেবতা ‘মিসি সালজং’কে উৎসর্গ করে এ উৎসবের আয়োজন করা হতো। শস্য দেবতার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতেই মূলত পালন করা হয় ওয়ানগালা উৎসব।কারিতাস ময়মনসিংহ অঞ্চলের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সুরঞ্জন রাকসাম বলেন, গারোদের হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতেই কারিতাসের এ আয়োজন।হালুয়াঘাট বিড়ইডাকুনি ধর্মপল্লীর পালক পুরোহিত ফাদার মনিন্দ্র চিরান বলেন, কালের পরিক্রমায় গারোরা ধীরে ধীরে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার পর তাদের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক প্রথাটি এখন ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে একত্রে করে পালন করা হয়।এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পালক পুরোহিত ফাদার মনিন্দ্র চিরান।সভাপতিত্ব করেন মিষ্টার মেনেন তজু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কারিতাসের প্রোগ্রাম অফিসার সুরঞ্জন রাকসাম, আইপিডিএস এর প্রজেক্ট অফিসার মিষ্টার সুজা চিসিম, কবি পরাগ রিছিল, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিষ্টার বেনেডিক্ট মানখিন, ঝলঝলিয়া ক্যাথলিক ধর্মপল্লীর ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিত রুগা। এছাড়া আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে কয়েক শতাধিক গারো সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।

Shares