হালুয়াঘাট থেকে মানবতাবিরোধী আসামী নুরু আটক
প্রকাশিতঃ ৩:০৮ অপরাহ্ণ | আগস্ট ১৭, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৫৩ বার
ওমর ফারুক সুমন:ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার মাজরাকুড়া এলাকা থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামী নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু (৭৬) কে আটক করেছে ফুলপুর থানা পুলিশ। ১৬ আগষ্ট বুধবার রাতে হালুয়াঘাট থানা পুলিশের সহায়তায় ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লা আল মামুন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাজরাকুড়া গ্রামের আব্দুল আলিমের বসত ঘর হইতে তাকে আটক করে। আটক আসামী নুরুর বাড়ি ফুলপুর উপজেলার গায়রা গ্রামে। মামলা ও অন্যান্য সুত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে ফুলপুর থানায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী মামলা দায়ের হয়। সুত্রে জানা যায়, আটক আসামী নুরুল ইসলাম ওরফে নুরুসহ আরো অনেকে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানা রাজাকার বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত হয়ে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরিত, লুণ্ঠনসহ নানাবিধ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠন করেছেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ফুলপুর থানা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সংঘটিত বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত ছিল । ১৯৭১ আলের ১৩ অক্টোবর রোজ বুধবার সকাল অনুমান ১০:৩০ ঘটিকার সময় নুরুল ইসলাম ওরফে নুরুসহ ১৫/২০ জন সশস্ত্র রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলীকে আটক করার জন্য ফুলপুর থানাধীন দেউখালি গ্রামে তার বাড়ীতে হামলা করে। আসামীদের উপস্থিতি টের পেয়ে হাসান আলী আত্মরক্ষার জন্য বাড়ীর পশ্চিম দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। আসামীরা তাকে পিছু পিছু ধাওয়া করে গাজী মুন্সির বাড়ীর সংলগ্ন জঙ্গল হতে তাকে আটক করে। আসামী মোঃ নুরুল ইসলাম ওরফে নূরু ভিকটিম হাসান আলীকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক ভাইটকাদি বাজারের নিকট রাখা একটি গাড়ীতে তুলে ফুলপুর রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ৬ (ছয়) দিন ফুলপুর রাজাকার ক্যাম্পে হাসান আলীকে আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতনের পর ১৯ অক্টোবর ১৯৭১ ভোর রাতে সর্চাপুর ঘাটে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ কংস নদীতে ফেলে দেয়। ১৯৭১ সালের ২৭ নভেম্বর
নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু একটি পাকিস্তানি আর্মির গাড়ির কাছে সুফিয়া খাতুনের অপেক্ষায় ছিল। তখন আসামীরা ভিকটিম সুফিয়া খাতুনকে কালভার্টের নিকট অপেক্ষমান পাকিস্তানি আর্মির গাড়িতে তুলে নকলা থানাধীন নারায়নখোলা স্কুলে স্থাপিত ক্যাম্পে নিয়ে যায়। উক্ত ক্যাম্পে সুফিয়া খাতুনকে তিন রাত দুই দিন আটক রেখে আসামী মোঃ নুরুল ইসলাম ওরফে নূরুসহ পাকিস্তানি আর্মিরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে সুফিয়া খাতুন অসুস্থ হয়ে পড়লে আসামীরা তাকে ২৯ নভেম্বর ১৯৭১ ভোরে পাকিস্তানি আর্মির গাড়িতে করে নকলা থানাধীন বিবিরচর রাস্তার উপর কালভার্টের নিকট ফেলে রেখে যায়। লোকমুখে সংবাদ শুনে সুফিয়া খাতুনের পিতা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।