আজ সোমবার , ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

শিরোনাম

হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনঃ প্রবীণে প্রবীণে লড়াই এম্বুলেন্সে করে মাদক পাচারকালে ২৪০ বোতল ভারতীয় মদসহ একজন আটক এমপি মাহমুদুল হক সায়েমকে সি.আই.পি শামিমের সংবর্ধনা হালুয়াঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হল স্বামীসহ অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালুয়াঘাটের স্থলবন্দর দিয়ে ২৭টি পণ্যের আমদানী রপ্তানীর পরিকল্পনা-এমপি সায়েম হালুয়াঘাটে ২৭ হাজার দুস্থ অসহায় পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার ১৩ বছর পর পদত্যাগ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হালুয়াঘাটে ফেইসবুক গ্রুপে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা। পুরস্কার বিতরণ ‘কৃষ্ণনগরের কৃষ্ণকেশীর ‘বেহিসেবি রঙ.. হিমাদ্রিশেখর সরকার হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর পর্যন্ত চার লেনের রাস্তা নির্মাণসহ সড়ানো হচ্ছে অস্থায়ী বাস কাউন্টার জনগণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে থাকবে-প্রিন্স ডামি নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে পাঠিয়েছে আওয়ামী লীগ-প্রিন্স বাজারে পণ্যের অগ্নিমূল্যের তাপ তাদের গায়ে লাগেনা-প্রিন্স নালিতাবাড়ীতে প্রেসক্লাবের নির্বাচন, সভাপতি সোহেল সম্পাদক মনির গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে-বিএনপি নেতা প্রিন্স

লাখ টাকার ঋণ দিয়ে পনের লাখ টাকার মামলা। হেনস্থা শিক্ষক

প্রকাশিতঃ ১২:০৯ অপরাহ্ণ | জুন ২১, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৭০ বার

মোঃ দৌলত হোসেন নালিতাবাড়ী:
দফায় দফায় মিলে মাত্র এক লাখ টাকা সুদে ঋণ নিয়ে দাদন ব্যবসায়ীর দেওয়া পনোরো লাখ টাকার মামলায় হেনস্তা হচ্ছেন রতন চন্দ্র পাঠক নামে এক প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক এর প্রতিকার চেয়ে মঙ্গলবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় শহরে উত্তর বাজার এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার বুরুঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষক রতন চন্দ্র পাঠক বলেন, শহরের আড়াইআনী বাজার এলাকার দাদন ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান খোকন এর কাছ থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রতিমাসে শতকরা ১০ টাকা হারে সুদে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেন। চাকুরীর ব্ল্যাঙ্ক চেক বন্ধক রেখে নেওয়া ঋণের পর তিনি আরও কয়েক দফায় মিলে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। নিয়মিত সুদ প্রদান না করায় একপর্যায়ে এক লাখ টাকা সুদ ও আসলসহ অংক বেড়ে বছর ঘুরে চার লাখে দাড়ায়। এসময় ওই দাদন ব্যবসায়ীর সাথে সুদের হার ১০ টাকা থেকে নামিয়ে ৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সুদের টাকা দিতে না পারায় বছর ঘুরে ২০২০ সালের দিকে তা ৮ লাখে পৌছায়। এসময় ওই দাদন ব্যবসায়ীর দাবীকৃত সমুদয় টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ২০২০ সালের শেষদিকে আদালতে পনেরো লাখ টাকার চেক ডিজঅনার মামলা করে দেন শিক্ষক রতন এর বিরুদ্ধে। এর অনুকূলে ৫ অক্টোবর অগ্রণী ব্যাংক নালিতাবাড়ী শাখা থেকে সাদা চেকে পনোরো লাখ টাকার অংক বসিয়ে তা ডিজঅনার করানো হয়।
এদিকে এক লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে বিভিন্ন সময় দাদন ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান খোকনকে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা পরিশোধ করেছেন বলে জানান রতন চন্দ্র পাঠক।
তিনি অভিযোগ করে জানান, বন্ধকী চেক এর পাতা শেষ হওয়ার পর দাদন ব্যবসায়ী খোকন চেক বইয়ের সাদা পাতা ব্যবহার করে ব্যাংক থেকে নতুন চেক বই উত্তোলন করে। পরে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দাদন ব্যবসয়ী খোকন তার একাউন্ট থেকে চাকুরীর বেতনের টাকা উত্তোলন করেছে দফায় দফায়। এসময় তিনি তার প্রকৃত স্বাক্ষর ও জালিয়াতি করা স্বাক্ষরও উপস্থাপন করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাদন ব্যবসায়ীর হেনস্তা থেকে মুক্তি পেতে সহযোগিতা কামনা করেন।

Shares