হালুয়াঘাটে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে
প্রকাশিতঃ ৫:০২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ২৫, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১৫৩ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ তথ্য গোপন করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি নেয়া তাহিরা খানম রুম্মান ও ফাতেমা জান্নাত মৌরি নামে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন চাকরি না পাওয়া বেশ কয়েকজন। মঙ্গলবার দুপুরের এ তথ্য জানান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদন করে চাকরি না পাওয়া মাহবুবুর রহমান হিমেল (পরীক্ষার রোল-১৮২২০২৩) ও পলি খাতুন (পরীক্ষার রোল-১৮২০০৭৪) নামে দুই পরীক্ষার্থী।খুব শীগ্রই আদালতে মামলা দায়ের করার কথা জানিয়েছেন এরা। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন মামলা দায়ের করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।অপরদিকে উক্ত দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।তদন্তে প্রমান পেলে চাকরি হারানোসহ শাস্তির আওয়ায় আসতে হবে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিউল হক।অপরদিকে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষার ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপ-পরিচালক, হালুয়াঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে পৃথক পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।হালুয়াঘাট প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, চাকরি বিধি বহির্ভুতভাবে ব্যক্তিগত মূল ঠিকানা আড়াল করে ভুঁয়া ঠিকানা দেখিয়ে শিক্ষকতার চাকরি গ্রহণ করার প্রাথমিক সত্যটা পাওয়ায় ইতিমধ্যে দুই শিক্ষিকাকে কয়েক দফায় নোটিশ দেয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে এক শিক্ষিকার শুনানী শেষ হয়েছে। আগামী ২৭ এপ্রিল অপর জনের শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। সুত্রমতে জানা যায়, নিজের ব্যক্তিগত স্থায়ী ঠিকানা আড়াল করে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা সত্ত্বেও হালুয়াঘাট উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে বাহিরশিমুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন তাহিরা খানম রুম্মান। একই কায়দায় প্রশ্চিম পাবিয়াজুড়ি চকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন তাহিরা খানম রুম্মানের সহোদর ছোট বোন ফাতেমা জান্নাত মৌরি।দুই শিক্ষিকার স্থায়ী ঠিকানা নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের বরুয়াজানী গ্রামে।উভয়ের পিতার নাম আমির হোসেন খান ও মাতার নাম আক্তারা খাতুন। তাহিরা খানম রুম্মানের শশুরবাড়ী ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় আর ফাতেমা জান্নাত মৌরির শশুর বাড়ী নালিতাবাড়ীর গোজাকুড়া গ্রামে। পিতার ঠিকানা বা স্বামীর ঠিকানায় আবেদন না করে হালুয়াঘাটের শাকুয়াই ইউনিয়ন আর হালুয়াঘাট পৌরসভার নাগরিক দেখিয়ে চাকরির আবেদন করেন। এ ক্ষেত্রে তৈরি করেন ভুঁয়া নাগরিকত্ব সনদ।হালুয়াঘাট উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহম্মদ মুনজুরুল হক জুয়েল বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে চাকরির নিয়োগ আর যোগদানের অনিয়ম পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। খুব শীগ্রই প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।