হালুয়াঘাটে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত। প্রমান পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা
প্রকাশিতঃ ৯:৩২ অপরাহ্ণ | এপ্রিল ০৬, ২০২৩ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৯২১ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ তথ্য গোপন করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি নেয়া তাহিরা খানম রুম্মান ও ফাতেমা জান্নাত মৌরি নামে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।তদন্তে প্রমান পেলে চাকরি হারানোসহ শাস্তির আওয়ায় আসতে হবে বলে জানান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিউল হক।বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা শিক্ষা অফিসের এই কর্মকর্তা। অপরদিকে দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রাথমিক শিক্ষার ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবরে পৃথক পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।হালুয়াঘাট প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, চাকরি বিধি বহির্ভুতভাবে ব্যক্তিগত মূল ঠিকানা আড়াল করে শিক্ষকতার চাকরি গ্রহণ করার প্রাথমিক সত্যটা পাওয়ায় ইতিমধ্যে দুই শিক্ষিকাকে কয়েক দফায় নোটিশ দেয়া হয়েছে।কারন দর্শানোর নোটিশ প্রাপ্তির পরেও কোন প্রকার জবাব দেননি বলে জানা গেছে। সর্বশেষ নোটিশ প্রদান অনুযায়ী আগামী রবিবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সুত্রমতে, নিজের ব্যক্তিগত স্থায়ী ঠিকানা আড়াল করে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা সত্ত্বেও হালুয়াঘাট উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা দেখিয়ে বাহিরশিমুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন তাহিরা খানম রুম্মান। একই কায়দায় প্রশ্চিম পাবিয়াজুড়ি চকপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নেন তাহিরা খানম রুম্মানের সহোদর ছোট বোন ফাতেমা জান্নাত মৌরি।দুই শিক্ষিকার স্থায়ী ঠিকানা নালিতাবাড়ীর কাকরকান্দি ইউনিয়নের বরুয়াজানী গ্রামে।উভয়ের পিতার নাম আমির হোসেন খান ও মাতার নাম আক্তারা খাতুন। তাহিরা খানম রুম্মানের শশুরবাড়ী ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় আর ফাতেমা জান্নাত মৌরির শশুর বাড়ী নালিতাবাড়ীর গোজাকুড়া গ্রামে। পিতার ঠিকানা বা স্বামীর ঠিকানায় আবেদন না করে হালুয়াঘাটের শাকুয়াই ইউনিয়ন আর হালুয়াঘাট পৌরসভার নাগরিক দেখিয়ে চাকরির আবেদন করেন। এ ক্ষেত্রে তৈরি করেন ভুঁয়া নাগরিকত্ব সনদ।হালুয়াঘাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারঃ) মোহম্মদ মুনজুরুল হক জুয়েল বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশক্রমে চাকরির নিয়োগ আর যোগদানের অনিয়ম পাওয়ায় পর পর কয়েকবার নোটিশ দেয়া সত্ত্বেও কাগজপত্র নিয়ে দুই শিক্ষিকার কেউ অফিসে আসেননি। তদন্ত চলছে, আর তা শেষ পর্যায়ে। খুব শীগ্রই তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে বলে জানান তিনি।