র্যাগ উৎসবে বর্ণিল সাজে সেজেছিল ডুয়েট
প্রকাশিতঃ ৪:৩২ অপরাহ্ণ | জানুয়ারি ১৯, ২০১৯ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ১,২১৭ বার
মাহামুদুল হাসান (রাজ), ডুয়েট থেকে ঃ-একজন শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হলো চরম ও পরম আকাক্সক্ষার জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার প্রথম দিন থেকেই ক্যা¤পাস, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সে নানারকমের স্বপ্ন বুনতে থাকে সে। সারা দিন পইপই করে ঘুরে বেড়ানো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা,মিছিল-মিটিং করে সময় পার। এভাবে বিশ্ববি-দ্যালয় তার কাছে হয়ে ওঠে মমতাময়ী মায়ের মতো আপন। ছুটির দিনগুলোয় বাসায় গেলেও প্রাণের ক্যা¤পাসে তার মন পড়ে থাকে। শুধু ভাবতে থাকে কখন যাব প্রিয় আঙিনাতে। ক্যা¤পাসে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা, ঘোরাঘুরি, ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে দৌড়াদৌড়ি এভাবে পার হয় জীবনের সব থেকে সেরা দিনগুলো। কখন যে সময় চলে যায় কেউ টের পায় না। চারটি বছর পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে বিদায়ের ঘণ্টা। শিক্ষাজীবনের সেই মধুময় দিনগুলো বিদায়ী শিক্ষার্থীর পিছু ডাকে। আর মধুময় দিনগুলোর স্মৃতি হৃদয়ের ফ্রেমে বেঁধে রাখতে, স্মরণীয় করে রাখতে আনন্দে, উচ্ছ্বাসে, সøোগানে, রঙে-রূপে এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে র্যাগ-ডে পালন করেন শিক্ষার্থীরা। ঘটা করে শিক্ষার্থীরা ক্যা¤পাসের এ বিদায়ী অনুষ্ঠান পালন করেন নাচ-গান আর হাসি-তামাশার মাধ্যমে। আর এসবের মাধ্যমেই নিজেদেরকে স্মরণীয় করে রেখেছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(ডুয়েট) এর শিক্ষার্থীরা। তাদের স্মরণীয় করে রাখতে তাদের ব্যাচের নাম দেয় ”শতদল-১৩”। গত দুই দিন ধরে তারা মাতিয়ে রাখেছে ডুয়েট ক্যা¤পাস। র্যাগ উৎসবেকে কেন্দ্র করে ডুয়েট ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। র্যালি , রং উৎসব , ফটোসেশন, কনসার্ট , স্মৃতিচারণ সভা, একসাথে দুপুরের ও রাতের খাবার খাওয়া , খেলাধুলা , সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাধ্যমে পালিত হয় র্যাগ ডে-১৯।
১৭ই জানুয়ারী বৃহ¯পতিবার সকাল ১১ টায় র্যালী দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়, এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আলাউদ্দিন, আরো উপস্থিত ছিলেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, ড. মোঃ নজরুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা নেচে গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। রং উৎসব র্যালির পর শুরু হয় র্যাগ-ডে এর আকর্ষণীয় অংশ রং উৎসব । এ সময় শুরু হয় রং মাখানোর প্রতিযোগিতা। মুহূর্তের মধ্যে ক্যাম্পাসে থাকা মানুষগুলোর চেহারা যেন পাল্টে গেল! কেউ নীল ,কেউ গোলাপি রঙে রাঙা; কেউ আবার হয়ে গেলেন কাদামানব পরিচিত কাউকে পেলেই শিক্ষার্থীরা ছুড়ে দিচ্ছিলেন মুঠোভর্তি আবির। অন্যদিকে চার-পাঁচজন মিলে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কোনো সিনিয়র ভাইকে। উদ্দেশ্য? কাদার মধ্যে তাঁকে নাকানিচুবানি খাওয়ানো! এভাবেই ২দিন ব্যাপী এই রং উৎসব কে কেন্দ্র করে রঙ্গিন হয়ে উঠে পুরো ক্যা¤পাস ।
২য় দিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাং¯ৃ‹তিক সংগঠন সৃজনীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হয় কন্সার্ট , যা চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। কন্সার্টের পাশাপাশি ”শতদল-১৩” শিক্ষার্থীদের নাচ ছিল দেখার মতো , তাদের সাথে যোগ দেয় কিছু জুনিয়র। কন্সার্টের পুরো সময় মাতিয়ে রাখেন তারা । দুই দিন ব্যাপী এসব অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।