হালুয়াঘাটে জাল দলিলে পাহাড়ী কাষ্ঠল উদ্ভিদের বাগান দখল
প্রকাশিতঃ ৬:১৯ অপরাহ্ণ | সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৩৯৬ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ১নং ভূবনকুড়া ইউনিয়নে রঙ্গমপাড়া মৌজায় ৮৬ দাগের ৩৩নং খতিয়ানের ৫০ শতাংশ কাষ্ঠল উদ্ভিদের বাগান জাল দলিল সম্পাদন করে দখল করে নিয়ে যায় আশ্রফ আলীসহ একটি অসাধু চক্র। একইসাথে উক্ত জমিটি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নায়েব আবুল বাশার ও সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেনের যোগসাজসে আশ্রফ আলীর মাতা আয়তন নেছার নামে খারিজও করে নেয় বলে জানা যায়। পরে এই জমির ২৫ বছর যাবৎ দখলকৃত মালিক হানিফ মোহাম্মদ সাকের উল্লাহ অসাধু চক্রটির সৃজনকৃত দলিলটি ময়মনসিংহের রেজিঃ মহা হাফেজ খানায় তল্লাশি দিয়ে জানতে পারে যে, আয়তননেছা নামে কোন দলিল নেই।তারা ভুঁয়া দলিল (যার নং ৩৭৮০) সম্পাদন করে ভূমিটি দখল করেছেন।
এ বিষয়ে ভূমির প্রকৃত মালিক হানিফ মোহাম্মদ সাকের উল্লাহ বলেন, এরা ৩৭৮০ নাম্বারের একটি ভুঁয়া দলিল সম্পাদন করে ৫০ শতাংশ কাঠের বাগানসহ জমি দখল করে নেয়। বাগানের সকল গাছ কেটে ফেলে। তিনি আরও বলেন, এই নাম্বারে কোন দলিল সম্পাদন হয়নি। এটি একটি ভুঁয়া দলিল। একটি জাল দলিল সম্পাদন কারী চক্রই রয়েছে যাদের কাজ হচ্ছে অবৈধভাবে টাকার বিনীময়ে দলিল তৈরি করে দেয়া। তিনি এদের বিরুদ্ধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে খারিজ বাতিলের আবেদন করেছেন বলে জানান। অবৈধ দখলকারী আশ্রফ আলী বলেন, আমি জামগড়া গ্রামের মান্নান মৌলবীকে ১৪ হাজার টাকা দিয়েছি। সে জমির দলিলটি করে দেয়। সেই জমির প্রকৃত মালিক বলে দাবী করেন।পরে মান্নান মৌলবীর কাছে জানতে চাইলে তিনি আশ্রাফ আলীকে দলিল করে দিতে সহযোগীতা করেছেন বলে স্বীকার করেন। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট নায়েব আবুল বাশারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি। সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, সংশ্লিষ্ট নায়েবের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই আমি অনুমোদন দিয়েছি। যদি অনিয়ম কিছু হয়ে থাকে এর জন্যে নায়েবই দায়ী বলে উল্লেখ করেন। পরে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লুৎফুন্নাহার তার কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ভূমির মালিক হানিফ মোহাম্মদ সাকের উল্লাহ খারিজ বাতিলের আবেদন করেছেন। তদন্ত চলছে। দলিল ভুঁয়া প্রমানিত হলে খারিজ বাতিল করা হবে।###