সিওমেকের ছাত্রীহলে খদ্দেরসহ যৌনকর্মী আটক;নির্লিপ্ত কলেজ প্রশাসন
প্রকাশিতঃ ৬:৫৭ অপরাহ্ণ | মার্চ ১৭, ২০২১ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪০০ বার
স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেটের অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ এর নারী হল কম্পাউন্ডে ১৫ মার্চ ২০২১ তারিখ সন্ধ্যায় দুইজন খদ্দেরসহ একজন বহিরাগত যৌনকর্মীকে আটক করে আবাসিক ছাত্রীরা। এক পর্যায়ে খদ্দেররা পালিয়ে যায় এবং জিজ্ঞাসাবাদে যৌনকর্মী নিজেকে পতিতা এবং টাকার বিনিময়ে অসামাজিক কাজ সম্পাদন করতে ছাত্রী হল কম্পাউন্ডে এসেছিল বলে স্বীকার করে । তার সাথে কথাবার্তার অংশ কয়েকজন ছাত্রীর কাছে প্রমাণ হিসেবে ভিডিও করা রয়েছে যার কপি প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে শাহপরান হলে বহিরাগত মধ্যরাতে হলে ঢুকে মেইন সুইচ অফ করে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে রুমের বাইরের দড়িতে টানানো কাপড়ে আগুন লাগিয়ে দেয় যা হলে ছাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করে।পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও কোন সমাধান পায়নি বলে জানায় ছাত্রীরা।একাধিকবার চুরি ও বহিরাগত প্রবেশের অপ্রীতিকর অভিযোগ জানালেও কোন সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই অবস্থায় কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি এবং প্রশাসনের প্রতি তীব্র চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। একজন নারী শিক্ষার্থী অনলাইন মিডিয়ায় সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে ভীতি এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন।নিচে স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো। “আজ দিলরুবা হলে ঘটে যাওয়া একটি কলঙ্কিত ঘটনা যা আমাদের সকলের কল্পনাতীত আপনাদের সবাইকে জানানোর প্রয়োজনবোধ থেকে এই পোস্ট করা। আপনারা সবাই জানেন মেয়েদের তিনটি হল রয়েছে যাতে ঘটে যাওয়া অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটতেছে হরহামেসাই।তবে আজকে যা ঘটে গেলো তা কল্পনার অতীত।দুইজন ছেলে একজন মেয়ে নিয়ে দিলরুবার সামনে নির্মাণাধীন নতুন হল থেকে বের হওয়ার সময় সন্দেহজনক গতিবিধি মনে হওয়ায় হলের কয়েকজন সিনিয়র আপুর সন্দেহ হওয়ায় উনাদের সাথে কথা বলার চেষ্টাকালীন সময়ে ছেলে দুটি মেয়েকে রেখে পালিয়ে যায়।এতে সিনিয়র আপুরা মেয়েকে হলের মধ্যে এনে কথা বলে বুঝতে পারে তারা অবৈধ এবং অশালীন কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে নির্মাণাধীন ভবনের ভেতর অবস্হান করে(মেয়েটি একজন SSW বলে স্বীকার করে)। উল্লেখ্য, হলে সিসি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তা কর্মী থাকার পরেও এ ঘটনাটি ঘটে।মেয়ের সাথে কথাবার্তার অংশ কয়েকজন ছাত্রীর কাছে প্রমাণ হিসেবে ভিডিও করা রয়েছে। এছাড়াও আরো কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে —- ১)কয়েকমাস আগে শাহপরান হলে বাইরের মানুষ মধ্যরাতে হলে ঢুকে মেইন সুইচ অফ করে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে রুমের বাইরের দড়িতে টানানো কাপড়ে আগুন লাগিয়ে দেয় যা হলে ছাত্রীদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি করে।পরবর্তীতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও সন্তুষ্টজনক সমাধান পাওয়া যায়নি। ২)প্রায় সময় হলের ভিতরে অপরিচিত মানুষের ঘোরাফেরা পাওয়া যায় পরবর্তীতে তাদের পরিচয় জানতে চাইলে ডেলিভারি বয় বলে চলে যায়। ৩)হলের গেইট এবং আশেপাশের স্হানগুলোতে প্রায় সময় অপরিচিত ছেলেদের আড্ডা ও সিগেরেট খেতে দেখা যায়। ৪)প্রায়সময়ই হলের বাইরের দিক দিয়ে চোর আসে এটা একটা কমন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে যা আমাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং ভীতির তৈরি করে। এরকম আরো অনেক ব্যাপার আছে। মেয়েদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”