বাউফলে থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগ একাধিক পরিবারের
প্রকাশিতঃ ৯:০৪ অপরাহ্ণ | জুন ২৪, ২০২০ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ২৮৭ বার
তোফাজ্জেল হোসেন, বাউফল(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর বাউফলে দুইটি নির্যাতিত পরিবার ও একজন নির্যাতিতা নারী থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ওই মামলা এজাহাভুক্ত না করার অভিযোগ উঠেছে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)’র বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার ভুক্তোভোগী পরিবারেরা এ অভিযোগ করেছেন।এর অগে গত ২১ জুন একই অভিযোগ করেন এক নির্যাতিতা নারী ।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, বগা ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের তোফায়েল মোল্লা গং ও বুলবুল চৌধুরি গংয়ের সঙ্গে জমাজমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২ জুন মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের মহিলাসহ ৫ জন জখম হয়। ওই ঘটনায় বুলবুল চৌধুরির স্ত্রী জিনাত বাদী হয়ে বাউফল থানায় ৬ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেন। ওই মামলা এজাভুক্ত হলেও একই ঘটনায় প্রতিপক্ষ তোফায়েল মোল্লার লিখিত অভিযোগ এজাহারভুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তোফায়েল মোল্লা। তিনি আরো বলেন, তার (তোফায়েলের) স্ত্রী শিউলি বেগম বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ঘনিষ্ট আত্বিয়ের মাধ্যমে থানায় অভিযোগ পাঠালেও ওসি মামলা নেয়নি। বেশ কয়েক দিন মামলা দায়ের জন্য থানায় ঘোরাঘুরির পর থানা ভারপ্রাপ্ত কমৃকর্তা বলেন, উপরের নির্দেশ আছে। মামলা নেয়া যাবে না।
অপর দিকে কাছিপাড়া ইউনিয়নের রিয়াজ উদ্দিন খান পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২১ জুন বাউফল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় কারাখানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন ও তার ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা মিরাজ মোরশেদ জিসান এবং পটুয়াখালী সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চমান সহকারি মামুন হাওলাদার সহ গ্রামের একাধিক ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়।
মামুন হাওলাদার অভিযোগ করেন, রিয়াজ উদ্দিন খান তাদেরকে আসামী করে বাউফল থানায় মামলা করলেও একই ঘটনায় রিয়াজের বিরুদ্ধে দায়ের করা তাদের মামলাটি নেয়নি।
এছাড়াও গত ২১ জুন বৃহস্পতিবার জোসনা বেগম (২২) নামের এক নির্যাতিতা গৃহবধূ এক দিন এক রাত থানায় অবস্থান নিয়ে কোন প্রতিকার পাননি। জোসনা বেগম অভিযোগ করেন, তার বাড়ি ঢাকার মেঘনা এলাকায়। বাবার নাম মৃত আবদুর রহিম বাদশা। চার বছর আগে বাউফলের মদনপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া গ্রামের জালাল মাতব্বরের ছেলে সিদ্দিক মাতব্বরের সাথে বিয়ে হয় তার। কয়েক মাস হয় স্বামী কোন খোঁজ খবর না নিলে তিনি সন্তানসহ স্বামীর গ্রামের বাড়ী আসলে স্বামী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মিলে তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন। পরে থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, দুটি ঘটনায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে হয়েছে। উভয় গ্রুপকে স্থাণীয়ভাবে শালিস মীমাংসার জন্য বলা হয়েছে।’ এক পক্ষের মামলা নিয়ে শালিস মিমাংসা হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘একই ঘটনায় দুই পক্ষের মামলা নেয়া যায় না।’