শরীয়তপুরে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে মৃতদেহ গুম
প্রকাশিতঃ ৫:৩৫ অপরাহ্ণ | জুন ২৬, ২০১৮ । এই নিউজটি পড়া হয়েছেঃ ৪৬৭ বার
সীমান্তবার্তা ডেস্ক: শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর মৃতদেহ সেপটিক ট্যাংকে গুম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৬ জুন, মঙ্গলবার উপজেলার চাকধ গ্রাম থেকে ইভা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।ইভা ওই গ্রামের জব্বার ছৈয়ালের ছেলে দেলোয়ার ছৈয়ালের স্ত্রী এবং উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের আ. মান্নান শেখের মেয়ে।
নড়িয়া থানা পুলিশ জানায়, প্রায় দুই বছর আগে চন্ডিপুর গ্রামের পলাশ নামে এক লোকের সঙ্গে বিয়ে হয় ইভার। পরে পলাশের সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে গেলে ছয় মাস আগে দেলোয়ারের সঙ্গে ইভার বিয়ে হয়। কিন্তু সংসার জীবনে দেলোয়ারের সঙ্গেও সুখী হতে পারেনি ইভা। তাই চাকধ এলাকায় নানি আনোয়ারা বেগমের কাছে থাকতেন তিনি।
ইভার নানি আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমার নাতনিকে বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করে মৃতদেহ ট্যাংকির ভেতর লুকিয়ে রাখে দেলোয়ার।’
পুলিশের ধারাণা, সোমবার রাতের কোনো এক সময় ইভাকে হত্যার পর মরদেহ গুম করতে বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।’
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল রিপোর্টে নিহত নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।’
ইভার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।